সুমুদ ফ্লোটিলায় ইসরাইলি বাধা, কড়া বার্তা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : ১১:৩০ এএম, ২ অক্টোবর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

ফিলিস্তিনের গাজামুখী ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’য় ইসরাইলি হামলা ও স্বেচ্ছাসেবকসহ বেশ কয়েকটি জাহাজ আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ নিন্দা জানান।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র ওপর ইসরাইলের বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এই জাহাজগুলোতে নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিক এবং গাজার জন্য জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু তাদেরকে বাধা দেওয়া হয়েছে।
তিনি লেখেন, একটি মানবিক মিশনকে বাধা দিয়ে ইসরাইল কেবল ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের প্রতিই নয়, বরং বিশ্বের বিবেকের প্রতিও চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করেছে। এই ফ্লোটিলা সংহতি, সহানুভূতি এবং অবরুদ্ধ মানুষদের জন্য আশার প্রতীক ছিল।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী লেখেন, যতদিন ফিলিস্তিনি জনগণ তাদের মৌলিক অধিকার এবং আকাঙ্ক্ষা থেকে বঞ্চিত থাকবে, মালয়েশিয়া তাদের পাশে থাকবে। ফিলিস্তিনে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলা অবিচার এবং বঞ্চনার অবসানের দাবিতে আমরা কখনো পিছপা হব না।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর গত ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টি বেশি নৌযান রয়েছে।
এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরাইল। যদিও এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল।