ফিলিপাইনে ভূমিকম্পের নিহত বেড়ে ৬৯, বিদ্যুৎ-পানির তীব্র সংকট
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৩:২৭ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২৫ বুধবার

ফিলিপাইনে মঙ্গলবার রাতে আঘাত হানা ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ জনে। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা চলছে, তবে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
সেবু প্রদেশের উপকূলীয় বোগো শহ রে হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়েছে। স্থানীয় সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেহান্দ্রো জানান, আহতের সংখ্যা দেড় শতাধিক। আঞ্চলিক তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, নিহতের প্রাথমিক সংখ্যা ৬৯ হলেও তা এখনো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের সরাসরি ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছেন।
ফিলিপাইনের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সেবুতে ৩৪ লাখ মানুষ বসবাস করে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো সান রেমিজিও, যেখানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। সহকারী মেয়র আলফি রেইনেস জানান, বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে, বিদ্যুৎ নেই এবং পানির সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মানুষ তীব্র সংকটে। তিনি খাদ্য, পানি ও ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে জরুরি সহায়তার
আহ্বান জানিয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আর্চেল কোরাজা বলেন, ভূমিকম্পের সময় তার পরিবার ঘুমাচ্ছিল। হঠাৎ প্রচণ্ড কাঁপুনি শুরু হলে তারা দ্রুত রাস্তায় বের হয়েছেন। এছাড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, মানুষ ঘর থেকে দৌড়ে বের হচ্ছে এবং ভবন ধসে পড়ছে; এমনকি শতবর্ষী একটি গির্জাও ভেঙে গেছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন সান রেমিজিওর একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে ছিলেন, যা আংশিক ধসে পড়ে।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, কম্পনের গভীরতা প্রায় ১০ কিলোমিটার এবং একাধিক আফটারশক রেকর্ড করা হয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালীটির মাত্রা ৬। তবে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় দেশটিতে প্রায়শই ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও দুটি বড় ভূমিকম্প হয়েছিল, যদিও তাতে কেউ নিহত হয়নি। ২০২৩ সালে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছিল।
]