বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী ভুটান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত : ১২:০৯ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শনিবার

বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর ও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে সরাসরি সংযোগ স্থাপনে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে।
তিনি বলেন, এ উদ্যোগ দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে নতুন মাত্রা দেবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনের ফাঁকে শুক্রবার নিউইয়র্কে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন।
তোবগে জানান, ভুটানের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ‘গেলেপু মাইন্ডফুলনেস সিটি (জিএমসি)’কে কুড়িগ্রামে ভুটানি বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দকৃত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করা গেলে উভয় দেশ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।
ড. ইউনূস এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটান উন্নত যোগাযোগ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। তিনি দুই দেশকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সব সুযোগ
অনুসন্ধানের আহ্বান জানান।
বৈঠকে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী ধর্মীয় পর্যটন, জলবিদ্যুৎ, ওষুধশিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশি বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ভুটানে গেলে পর্যটন বিকাশে সহায়ক হবে। পাশাপাশি ভুটানের
জলবিদ্যুৎ সম্পদ বাংলাদেশকে সরবরাহ করার পরিকল্পনার কথাও জানান। এ ছাড়া ভুটানের ওষুধশিল্পে বাংলাদেশি বিনিয়োগকে স্বাগত জানান এবং ফাইবার অপটিক সংযোগ স্থাপনে সহযোগিতা কামনা করেন।
দুই নেতা রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও আলোচনা করেন। তোবগে জানান, ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ আয়োজিত পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এ ইস্যুতে ভুটান অংশ নেবে।
ড. ইউনূসের নেতৃত্বের প্রশংসা করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ এখন সঠিক নেতৃত্বে রয়েছে।” তিনি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা জানিয়ে ড. ইউনূসকে ‘মাই প্রফেসর’ বলে সম্বোধন করেন।
এ সময় তিনি থিম্পুতে সম্প্রতি উদ্বোধন হওয়া বাংলাদেশের নতুন চ্যান্সারি ভবনের নকশারও প্রশংসা করেন। বৈঠকের শেষে ড. ইউনূস তাঁকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যা তোবগে গ্রহণ করেন। তিনি জানান, সম্ভবত আগামী
ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের আগেই তিনি ঢাকা সফর করবেন।