শুক্রবার   ০৩ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ১৭ ১৪৩২   ১০ রবিউস সানি ১৪৪৭

‘প্রাক্তনকে নিয়ে বলতে গিয়ে আমার চোখে জল নেই, বুকও ব্যথা করছে না’

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত : ০৮:১৯ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন স্বস্তিকা দত্ত। তারপর টিভি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে বড় পর্দায় পা রেখে নজর কাড়েন এই অভিনেত্রী। আপাতত পূজার আনন্দে দিন পার করছেন স্বস্তিকা। 

 

পূজাকে কেন্দ্র করে অনেকের জীবনে প্রেম এসেছে। অভিনেত্রী স্বস্তিকা দত্তরও কী তেমন অভিজ্ঞতা রয়েছে? এ প্রশ্ন রাখা হয় এই অভিনেত্রীর কাছে। জবাবে তিনি বলেন, “পূজার সময়ে প্রেম হওয়ার অভিজ্ঞতা আমার জীবনে নেই। তবে ভালো লাগা বা ইনফ্র্যাচুয়েশনটা তো আলাদা। তবে জীবনে একবারই আমি সিরিয়াস প্রেম করেছি।” 

 

 

কার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, তা জানাননি স্বস্তিকা দত্ত। তবে প্রাক্তনকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বেশ কিছু বিষয় সামনে এনেছেন। স্বস্তিকা বলেন, “প্রাক্তন শব্দটা আমার কাছে শুধুই ‘প্রাক্তন’। মানে অতীত যা ছেড়ে এসেছি। প্রেম ছিল, আজ আর সেটা নেই। কিন্তু এ নিয়ে কুৎসা করব এমন মানুষ আমি নই। এই অধ্যায়টাকে আমি আমার জীবন থেকে মুছে ফেলতে চাই না। কারণ ওটাই জীবনের অন্যতম শিক্ষা। একটা জিনিস বুঝতে পেরেছি, কিছু কিছু ভুল জীবনে খুব প্রয়োজন।”

 

 

খানিকটা ব্যাখ্যা করে স্বস্তিকা দত্ত বলেন, “আসলে ওই অধ্যায়টা নিয়ে কথা বলতে গেলে একটা কথাই বলব, আমি কিন্তু ক্ষমা করতে পারি না। শুধু ঘটনাগুলোকে ভুলে যেতে চাই। এটা বলতে গিয়ে আমার চোখে এক ফোঁটা জলও আসছে না, বুকে ব্যথা করছে না।”

স্বস্তিকা এখন আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। এ তথ্য উল্লেখ করে এই অভিনেত্রী বলেন, “যে দুজন মানুষ দুজনকে ভালোবেসেছে, তারা একসঙ্গে আছে, আমি তাতেই খুশি। জীবনের ঘটনাক্রম আমার কতটা ক্ষতি করেছে তা জানি না। শুধু বলব, আমার সবার সঙ্গে কমিউনিকেশনের ইচ্ছেটাই চলে গিয়েছে। বিশ্বাস করা তো দূরের কথা।” 

 

পূজা মানেই ভরপুর খাবার-দাবার। ডায়েট ভুলে কবজি ডুবিয়ে খেয়ে থাকেন সবাই। স্বস্তিকাও কী তাই করবেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি কোনো দিনই ফুডি নই। মায়ের হাতের রান্না খেতে ভালোবাসি। সারা বছর আলাদা করে কড়া ডায়েটে থাকি, তেমনটা কিন্তু নয়। শারীরিক কিছু সমস্যার কারণে আমাকে এমনিতেই ফুড হ্যাবিট মেইনটেন করতে হয়। সেটাও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই।” 

নিজে রান্নার পরিকল্পনা করেছেন স্বস্তিকা। এ অভিনেত্রীর ভাষায়, “তবে পূজার চারটি দিন মাকে রান্নাঘরে ঢুকতে দিতে চাই না। কারণ সারা বছর আমার বাড়িতে কোনো হাউজ হেল্পার থাকে না, মা সবকিছু নিজে হাতে করেন। আর এই কটা দিন বাইরের খাওয়া–দাওয়াও করি, কিন্তু সেটা একটা নিয়ম মেনে।”