গাজা শান্তির পরবর্তী বিবস্থাপন: টনি ব্লেয়ার নেতৃত্ব
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৭:৫৭ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

একটি আন্তর্জাতিক পরিকল্পনায় গাজা উপত্যকার যুদ্ধপরবর্তী প্রশাসন গঠন এবং তা পরিচালনার সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নাম উঠে এসেছে। পরিকল্পনায় অন্তর্বর্তীকালে গাজার ভিতরে নিরাপত্তা
প্রদান, ত্রাণ ও পুনর্গঠনের তদারকি এবং ধাপে ধাপে স্থানীয় ফিলিস্তিনি সংস্থার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা রয়েছে।
প্রস্তাবিতভাবে এই প্রশাসনের নাম হতে পারে ‘গাজা ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজিশনাল অথরিটি (জিইটিএ)’। এটি শুরুতে আঞ্চলিক অংশীদারদের সমর্থন নিয়ে মিসরের আল-আরিশ শহরে কার্যক্রমসূচি স্থাপন করবে এবং পরে জাতিসংঘ
অনুমোদিত বাহিনীসহ আরব ও মুসলিম দেশগুলোর সামরিক ও সিভিল প্রতিনিধিদের সঙ্গে মিলিয়ে গাজার ভেতরে কার্যক্রম শুরু করবে।
পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, জিইটিএ অন্তত কয়েকবছর দায়িত্ব পালন করবে — কিছু গণমাধ্যম পাঁচ বছরের মতো একটি সময়সীমার কথা উল্লেখ করেছে — এবং এরপর শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিস্থিতি নিশ্চিত হলে দায়িত্ব স্থানীয় ফিলিস্তিনি
কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। পরিকল্পনাটিতে হামাস সরাসরি অংশগ্রহণ করবে না, তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) সীমিত ভূমিকার কথা বলা হয়েছে।
জিএআইটি–র মডেল হিসেবে কসোভো বা তিমুর–র মতো অন্তর্বর্তী প্রশাসন কাঠামোকে উদাহরণ হিসেবে নেওয়া হয়েছে; তাতে অনুদান ও পুনর্গঠন তহবিল দেবে আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো। রিপোর্ট অনুসারে পরিকল্পনার প্রাথমিক খসড়া তৈরি
করতে জেরেড কুশনারের টিম ও টনি ব্লেয়ার জড়িত ছিলেন এবং এটি সম্প্রতি হালনাগাদ করা হয়েছে।
এখনও পর্যন্ত টনি ব্লেয়ার, ইসরায়েল বা হামাস ওই পরিকল্পনার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি; সাংবাদিক সূত্রগুলো পরিকল্পনার কিছু প্রাসঙ্গিকতা যাচাই করছেন। যদি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তা গাজায় যুদ্ধবিরতি স্থাপন
ও দ্রুত ত্রাণ প্রবেশ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে একটি শান্তি ও পুনর্গঠনের পথ খুলে দিতে পারে — তবে বাস্তবায়ন ও বৈধতা নিশ্চিত করতে কূটনৈতিক সমর্থন ও আন্তর্জাতিক আইনগত অনুমোদন অপরিহার্য বলে বিশ্লেষকেরা
বলেন।