গাজা ইস্যুতে ট্রাম্পকে শান্তির বার্তা দিলেন আরব-ইসলামিক নেতারা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৫:৩৯ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আরব ও ইসলামিক বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে তারা গাজায় চলমান যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করা, ইসরায়েলি বন্দিদের মুক্তি এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়াকে প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেন। নেতারা মন্তব্য করেন, এটি ন্যায্য ও স্থায়ী শান্তির পথে প্রথম ধাপ।
মিসরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার মানবিক সংকট কেবল স্থানীয় নয়, পুরো ইসলামিক বিশ্বের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনছে। যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও সংকটজনক হবে।
উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয়, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রাবোও সুবিয়ান্টো, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, মিসরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলি, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
বৈঠকে নেতারা গাজার জনগণকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার যে কোনো পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেন এবং যারা পালিয়ে গেছে তাদের সুরক্ষিতভাবে ফেরার নিশ্চয়তা দেওয়ার আহ্বান জানান। একই সঙ্গে ট্রাম্পের নেতৃত্বে সংকট সমাধান ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার গুরুত্বও তুলে ধরা হয়।
মুসলিম নেতারা আরও একমত হয়েছেন যে, পশ্চিম তীরের স্থিতিশীলতা, জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলোর সুরক্ষা এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে হবে। গাজার পুনর্গঠনের জন্য আরব দেশ ও ওআইসি-র সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি, যাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করা যায় এবং ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব আরও শক্তিশালী হয়।
আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময়ও গাজায় সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল।