ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে পশ্চিমারা: প্রতীকী না বাস্তব প্রভাব?
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৮:৫৪ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে পশ্চিমারা, বাস্তবে এর প্রভাব কী?
অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ প্রায় ১০টি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। আগামী সোমবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকের আগে এ ঘোষণা আসছে।
ফিলিস্তিনের বর্তমান অবস্থা
-
ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) ১৯৮৮ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে।
-
বর্তমানে জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের মধ্যে ১৪৭টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-
জাতিসংঘে ফিলিস্তিন এখনো পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র; ভোটাধিকার নেই।
-
পূর্ণ সদস্য হতে হলে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন দরকার, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা বড় বাধা।
পশ্চিম তীরে সীমিতভাবে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের নেতৃত্বাধীন প্যালেস্টাইন অথরিটি (পিএ) কার্যক্রম চালায়। অন্যদিকে, গাজা উপত্যকা ২০০৭ সাল থেকে হামাসের নিয়ন্ত্রণে।
কেন পশ্চিমারা এখন স্বীকৃতি দিচ্ছে?
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদ ও আন্তর্জাতিক চাপ বাড়াতে পশ্চিমা দেশগুলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
-
প্রথম ঘোষণা দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।
-
এরপর যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ আরও দেশ একই পথে এগোয়।
প্রতীকী নাকি বাস্তব প্রভাব?
বিশ্লেষকদের মতে—
-
অনেক দেশ আগেই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তবুও দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এগোয়নি।
-
ইসরায়েল এখনো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
-
ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকায় ফিলিস্তিনের সীমান্ত, পণ্য প্রবেশ, বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক কার্যক্রম সীমাবদ্ধ।
-
ফিলিস্তিনের কোনো বিমানবন্দর নেই, গাজা ও পশ্চিম তীরে প্রবেশের পথও ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন।
তবে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও সমর্থকরা বলছেন, এই স্বীকৃতি শুধু প্রতীকী নয়—
-
এটি ফিলিস্তিনিদের আন্তর্জাতিকভাবে সমতার অংশীদারত্ব এনে দিতে পারে।
-
পশ্চিমা দেশগুলো ইসরায়েলের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নতুন করে পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য হতে পারে।
-
উদাহরণস্বরূপ, ইসরায়েলি বসতিগুলো থেকে আসা পণ্যে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব।
উপসংহার
পশ্চিমা দেশগুলোর স্বীকৃতি ফিলিস্তিনের জন্য কূটনৈতিক সাফল্য হলেও, বাস্তবে এর সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো, ইসরায়েলের কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং দ্বিরাষ্ট্র আলোচনার স্থবিরতা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎকে এখনো অনিশ্চিত করে রেখেছে।