নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দিচ্ছেন ড. ইউনূস
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৪:১৬ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দিচ্ছেন ড. ইউনূস
বাংলাদেশকে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি সমাধান বেছে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেছেন, বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করতে পারে না।
সৌরবিদ্যুৎ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে গুরুত্ব
ড. ইউনূস জানান, এখনই বাংলাদেশের বড় আকারে সৌরবিদ্যুৎসহ বিকল্প জ্বালানিতে বিনিয়োগ করার সময় এসেছে। সরকার ইতিমধ্যেই নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে, যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রসারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
পারমাণবিক বিকল্প নিয়ে কার্ল পেজের মতামত
অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ সভায় বলেন—
-
নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি ও হাইব্রিড সিস্টেম নির্ভরযোগ্য ও শূন্য–কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহে সক্ষম।
-
বার্জে বসানো পারমাণবিক চুল্লি সাশ্রয়ী, কম রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন এবং দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে।
-
ইন্দোনেশিয়া ইতিমধ্যেই এ প্রযুক্তি গ্রহণ শুরু করেছে, বাংলাদেশও চাইলে কৌশলগতভাবে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারবে।
সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
কার্ল পেজ আরও বলেন, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। এতে—
-
কর্মসংস্থান সৃষ্টি,
-
জ্বালানির দাম স্থিতিশীলতা,
-
শিল্পখাতের প্রতিযোগিতা বাড়বে।
তবে ড. ইউনূস স্পষ্ট করে জানান, পারমাণবিক বিকল্পে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গভীর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা ব্যাপকভাবে কমাতে হবে। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির বিকল্প খুঁজে বের করাই টেকসই ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি।”
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—
-
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন,
-
এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।