৫ মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করলেন মা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৩:৫২ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ সোমবার

রংপুরের তারাগঞ্জে এক মায়ের হাতে ৫ মাসের কন্যাশিশু খুন হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের বাবুলাল ও তুলসী রানী দম্পতির দ্বিতীয় কন্যা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশুটি কান্নাকাটি করায় দাদি পাতানী রানী সকালে মা তুলসী রানীর হাতে তুলে দেন দুধ খাওয়ানোর জন্য। কিছুক্ষণ পর শিশুকে ঘরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তুলসী রানী। পরে রক্তাক্ত দেহ স্বামী বাবুলালকে দেন। স্থানীয়রা ধাওয়া করে মাকে আটক করেন।
শিশুর বাবা, হোটেল শ্রমিক বাবুলাল বলেন, “কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। মাসখানেক ধরে বউ অসুস্থ থাকার কারণে বাচ্চা আমার মায়ের কাছে ছিল। আজ ভোরে দুধ খাওয়ানোর জন্য মা তুলসীর কাছে দিয়েছিলাম। মেয়েটার কান্না থামল, কিন্তু এভাবে থামবে ভাবিনি।”
শ্বাশুড়ি পাতানী রানী বলেন, “৫-৬ দিন ধরে নাতনী আমার কাছে ছিল। সকালে কান্না করছিল, তাই বউকে দুধ খাওয়াতে দিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখি ছেলে হাতে করে গলাকাটা বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। বউ শুধু চুপ করে আছে।”
ঘটনার পর আটক তুলসি রানী গণমাধ্যমের সামনে অসংলগ্ন বক্তব্য দেন। প্রতিবেশীরা বলেন, শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
তুলসি রানীর ভাই মানিক মিয়া বলেন, “আমার বোন সন্তানদের খুব ভালোবাসে। কিন্তু অসুস্থ থাকলে মানুষ স্বাভাবিক থাকে না। সুস্থ থাকলে এ কাজ কোনোদিন করত না।”
কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সবিত্রী সেন বলেন, “ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। শুনেছি নিহত শিশুর মা মানসিক রোগে ভুগছেন।”
তারাগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক জানান, ওই নারীকে আটক করা হয়েছে এবং তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। মামলার প্রক্রিয়া চলমান।