গাজা সিটি খালি করতে হামলার গতি বাড়ালো ইসরায়েল, একদিনেই নিহত ৪৯
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ রোববার

গাজা সিটিতে আবারও তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শনিবারের (১৩ সেপ্টেম্বর) হামলায় কমপক্ষে ৪৯ জন নিহত হয়েছেন। ধ্বংস হয়েছে এক হাজারেরও বেশি ভবন, যার মধ্যে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলও রয়েছে। সেখানে বহু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মূল তথ্য এক নজরে:
-
গাজা সিটিতে নিহত ৪৯ জন, গোটা উপত্যকায় নিহত ৬২ জন
-
এক দিনে ১,০০০-এর বেশি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত
-
অন্তত ৬,০০০ বাসিন্দা গৃহহীন হয়ে পালিয়েছে
-
অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৪২০, এর মধ্যে ১৪৫ শিশু
ধারাবাহিক বোমাবর্ষণ
গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, শহরের মানুষ চরম দুর্দশার মধ্যে আছে। অবরোধ ও বোমাবর্ষণে তারা দিন কাটাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি সেনারা প্রতি ১০–১৫ মিনিট অন্তর ভবনে বোমা ফেলছে। উদ্দেশ্য যেন দ্রুত শহর খালি করা যায়। আতঙ্কিত বাসিন্দাদের লিফলেট ফেলে দক্ষিণে চলে যেতে বলা হয়েছে।
হাসপাতাল ও শরণার্থীদের দুর্দশা
আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ আবু সালমিয়া বলেন, বাসিন্দারা পূর্ব দিক থেকে পশ্চিমে পালাচ্ছে। তবে দক্ষিণের আল-মাওয়াসি শিবির ও দেইর আল-বালাহতে অতিরিক্ত ভিড় থাকায় অনেকে আবার শহরে ফিরে আসছেন।
জাতিসংঘ পরিচালিত তিনটি স্কুলে শনিবার ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। সেগুলোতে হাজারো বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। বেঁচে যাওয়া ফিলিস্তিনি নারী ফিদা জাআনিন জানান, “আমরা জিনিসপত্র বাইরে রেখেছিলাম। মিনিটখানেক পরই স্কুলে বোমা পড়লো। এখন খালি হাতে তাঁবুতে বসে আছি।”
গণহত্যা ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ক্ষতি
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে অনাহার ও অপুষ্টিতে ৪২০ জন মারা গেছেন, যাদের মধ্যে ১৪৫ শিশু।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধে এ পর্যন্ত অন্তত ৬৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৬৩ হাজার আহত হয়েছেন।