ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করায় শিক্ষকদের ক্ষোভ, কখন রেজাল্ট অজানা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৬:৩০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ শুক্রবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে ২৪ ঘণ্টা আগে। তবে এখনো শেষ হয়নি ভোট গণনা। তাই কখন নাগাদ ফলাফল ঘোষণা করা হবে তা-ও অজানা।
এদিকে ম্যানুয়ালি ভোট গণনা করতে গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এভাবে ফলাফল গণনা করতে গিয়ে তারা পেরেশানি হয়ে যাচ্ছেন। এমনকী চারুকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন তারা।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সুলতানা আক্তার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘যে অমানুষিক পরিশ্রম আমরা করেছি, তার প্রতিদান হলো আমার সহকর্মীর মৃত্যু। আর রেমুনারেশন (সম্মানী) তো কি বলবো! এর চেয়ে শ্রমিক হিসেবে কামলা দিলেও ঘণ্টা হিসেবে রেমুনারেশন বেশি পেতাম।’
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘হলে ভোট নেওয়া হয়েছে। তাহলে ভোট কাউন্ট হলে করলে গতকাল রাত ১১টার মধ্যেই রেজাল্ট দেওয়া যেতো। ২১টি হলে ভোট কাউন্ট হলে সিনেট ভবনে যে ভিড় হয়েছে সেটি এড়ানো যেতো। ভোট কাউন্টের বিষয়ে আমাদের নির্দেশনা না থাকায় আমাদের অনেকেই ভোট কাস্ট করে সিনেট ভবনে রাতে ছিলাম। পরে আমি অসুস্থবোধ করায় বাসায় চলে আসি। আমাকে বলা হল, এখন রেস্ট নাও, রাত ৪টায় ডাকা হবে তোমার হলের কাউন্টিংয়ের সময়। স্ট্রেস এবং চিন্তা নিয়ে আমি ঘুমাতে পারিনি—কখন আবার আমাকে যেতে হয় সিনেট ভবনে।’
অধ্যাপক সুলতানা আক্তার বলেন, ‘গতকাল রাতেই যদি ভোট কাউন্টিং শেষ হয়ে রেজাল্ট হতো, তাহলে আজকে সকালে আমার সহকর্মীর মৃত্যু দেখতে হতো না। আমার প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কি জান্নাতুল ফেরদৌসের মৃত্যুর দায় এড়াতে পারে? আরও সহকর্মী যে অসুস্থ হবে না তার গ্যারান্টি কে দেবে? হলে ভোট কাস্ট করা হলো কিন্তু গণনা সিনেট ভবনে কেন?’
তিনি বলেন, ‘২১টি হলে ভোট কাউন্ট হলে প্রতিটি হলে একটি করে টেবিল থাকলেও ২১টি টেবিলে একসঙ্গে কাউন্ট হতো...ভোট মেশিনের মাধ্যমে কাউন্ট না করে হঠাৎ করে সিদ্ধান্ত নিয়ে কার স্বার্থে এবং কেন ম্যানুয়ালি শুরু করা হলো? জান্নাতুল ফেরদৌসের এই মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই অব্যবস্থাপনাই দায়ী।’