হট্টগোলে বিদ্যুৎবিভ্রাটে উত্তপ্ত জাকসু নির্বাচন, ছাত্রদলের বর্জন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে। তবে সারাদিন ধরে অনিয়ম, হট্টগোল ও বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে ভোটগ্রহণ একাধিকবার বন্ধ হয়ে যায়। অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল।
ভোটগ্রহণ শুরুতেই অনিয়ম
সকাল ৯টায় ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও একাধিক হলে ব্যালট পেপার পৌঁছায় দেরিতে। প্রায় ৪৫ মিনিট পর ভোট শুরু হয়। কিছু হলে আবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোট বন্ধ হয়ে যায়।
লোডশেডিংয়ে ভোট কেন্দ্র অন্ধকার
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ নম্বর হলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। অন্ধকারে ভোটগ্রহণ সম্ভব না হওয়ায় প্রায় এক ঘণ্টা কেন্দ্রটি বন্ধ রাখা হয়।
দুই হলে হট্টগোল, ভোট বন্ধ
ফজিলাতুন্নেসা ও তাজউদ্দীন হলে প্রার্থীদের প্রবেশকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। “ভুয়া ভুয়া” স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে কেন্দ্র। এক পর্যায়ে প্রায় এক ঘণ্টা ভোট বন্ধ রাখা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ভোট আবার শুরু হয়।
ভোটারের চেয়ে ব্যালট বেশি!
শহীদ সালাম-বরকত হলে মোট ভোটার ২৯৩ হলেও সেখানে ৪০০ ব্যালট পেপার পাঠানো হয় বলে অভিযোগ তোলে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বাগছাস সমর্থিত প্রার্থীরা। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
আঙুলে কালি না দেওয়ার অভিযোগ
জাতীয় কবি নজরুল হল কেন্দ্রে ভোটের প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোটারদের আঙুলে অমোচনীয় কালি দেওয়া হয়নি। এতে একাধিক প্রার্থী অনিয়মের অভিযোগ তোলেন। পরে নির্বাচন কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, শুরুতে কালি সরবরাহ করা হয়নি।
ছাত্রদলের বর্জন
বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মওলানা ভাসানী হল কেন্দ্রের সামনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান ঘোষণা দেন—
“এই নির্বাচনে অনিয়ম, জালিয়াতি এবং বিতর্কিত উৎস থেকে কেনা ব্যালট ও মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। তাই আমরা ভোট বর্জন করছি।”