বৃহস্পতিবার   ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৭ ১৪৩২   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, এর প্রতিফলন দেখা গেছে ডাকসুতে: প্রেসসচিব

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত : ০৫:৩৯ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বৃহস্পতিবার

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলম বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, তার একটা প্রতিফলন দেখা গেছে ডাকসুতে। তিনি বলেছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। 

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নাগরিক কোয়ালিশন আয়োজিত ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।

প্রেসসচিব বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, তার একটা প্রতিফলন দেখা গেছে ডাকসুতে।


তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেন, সরকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করবে না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, যাতে ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়সূচি থেকে কেউ সরে আসতে চাইলে তা জাতির জন্য মহাবিপর্যয় ডেকে আনবে বলে জানান প্রেস সচিব।

তিনি জানান, নির্বাচনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রায় ৮ লাখ পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে।


শফিকুল আলম বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন শুধু সরকারের ইচ্ছায় নয়, সমাজের বিভিন্ন অংশ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছার ওপরও নির্ভর করে। ‘ইলেকশন করে সোসাইটি, পলিটিক্যাল পার্টিগুলো–তারা যদি চায়, তাহলে একটি ভালো নির্বাচন অবশ্যই সম্ভব।

প্রেস সচিব বলেন, জনগণ যদি বন্যার পানির মতো ভোট দিতে কেন্দ্রে ছুটে আসেন, তাহলে কোনো শক্তিই সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। উদাহরণ হিসেবে ডাকসু নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন ভালো হবে, তার একটা প্রতিফলন ডাকসুতে দেখা গেছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, অনেকে বলছে, সরকার কিছু করেনি। সেগুলো তারা ইমোশনাল হয়ে না পাওয়ার বেদনা থেকে বলছে। সরকারের সফলতা ও ব্যর্থতার বিষয়ে বলতে হলে সব পরিসংখ্যান হিসাব করে বলতে হবে। বিপ্লব–পরবর্তী সময়ে অনেক দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশে এমন কিছু হয়নি, এটাই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য।


ইউটিউবে এসে অনেকে মিথ্যা বলছেন বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, ইউটিউবে যা হচ্ছে, তা রীতিমতো ভয়াবহ। এখনকার প্রজন্ম সংবাদমাধ্যম থেকে নিয়মিত তথ্য নেয় না। তারা ইউটিউব থেকে তথ্য নেয়। সেখানে কেউ কেউ নিয়মিত মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন। কোনো দেশের সরকার এগুলো সহ্য করে না। এটা নিয়ে কথা বলতে গেলেই বলা হবে, অন্তর্বর্তী সরকার মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাসী নয়।