হালিম ব্যবসায়ীর আয় মাসে লাখ টাকা!
খোকণ আকন্দ (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত : ০৫:৪৯ পিএম, ৫ মার্চ ২০২৪ মঙ্গলবার

চোখে জল নিয়ে যাত্রা শুর হয় ২০১৮ সালের শুরুর দিক থেকে। আজ তীব্র জল গুলো থেকে দেখা মিলেছে খুশির জোঁয়ার।পাঁচ বছরের ব্যবধানে নিজে হয়েছে স্বচ্ছল।তাঁর প্রতিষ্ঠানে ও কর্মসংস্থ্যান মিলেছে অনেকের। নিজের কুড়ে ঘর ভেঙ্গে দিয়েছেন বিল্ডিং বাড়ি। কথা বলছি ফেনী শহরের তরুণ উদ্যোগতা শাকিবকে নিয়ে।
ফেনী শহরের পৌর এলাকার রাজাদের ডিঘীর পাড়ের উপর হালীম বিক্রি করেন শহরের পৌর এলাকার বাসিন্দা তরুণ উদ্যোগতা শাকিব। তিনি দুপুর থেকে শুরু করে রাত ১০টা পর্যন্ত পৌর এলাকার রাজাদের ডিঘির পাড়ের উপর স্থায়ী স্থাপনা করে হালিম বিক্রি করেন। তার সুস্বাধু হালিমের প্রশাংসা করেন অনেকেই।
সোহাগ হাসান পেশায় শিক্ষক তিনি দীর্ঘ ২ বছর ধরে নিয়মিত হালিম খেয়ে আসছেন শাকিবের দোকানে।তিনি বলেন, এখানকার হালিমের বাটি গুলো ৩০, ৪০, ৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
শাকিবের দোকানে দূরদুরান্ত থেকে ভোজন রসিকরা আসেন হালিম খেতে তারা জানান, এই দোকানের হালিম একবার খেলে বার বার খেতে ইচ্ছা করে। এই দোকানে হালিম খেতে আসলে লম্বা লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়।
হাসান নামের এক শিক্ষার্থী শাকিবের দোকানে হালিম খেতে আসেন। তিনি বলেন, পড়াশোনার মাঝে ফিরি সময় হলেই শাকিব ভাইয়ের দোকানে হালিম খেতে আসি। এখানকার হালিম অন্য হালিমের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা, খেলে মন ভরে যায়।
কাজের ফাঁকে কথা হয় শাকিবের সঙ্গে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে দুই হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে যাত্রা শুরু হয় হালিমের দোকান দিয়ে। এর আগে দৈনিক দিনমজুর হিসাবে কেটে যেতো দিন। অর্থনৈতিক কষ্টে গুলো কেটে গিয়ে পাঁচ বছর আগের চোঁখের পানি গুলো আজ হাসিতে পরিণত হয়েছে। শাকিব প্রতিদিন ৭ হাজার টাকার হালিম নিয়ে আসেন বিক্রি করতে, এতে তার লাভ হয় প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকা।
এখানেই শেষ নয় ফেনী শহরে শাকিবের হালিমের আরও একটি দোকান আছে সেটা তিনি ভাড়া দিয়ে চালান সেখান থেকে ও প্রতিদিন ২ হাজার টাকার বেশী লাভ হয়। দুই দোকানে মিলিছে ৫ জনের কর্ম সংস্থানও।
শাকিব জানান, সব মিলিয়ে তার মাসে ১ লাখ টাকা লাভ হয়। যা দিয়ে তিনি দোকানের কর্মচারিদের বেতনও পরিবারের খরচ চালান।