বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫   বৈশাখ ১৭ ১৪৩২   ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

সরকারের রাজস্ব ফাঁকি বিদেশী সিগারেটে

আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী:

প্রকাশিত : ০২:০৩ পিএম, ২১ জানুয়ারি ২০২৪ রোববার

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ফুটপাতে চলছে নিয়মিত অবৈধ সিগারেটের বাণিজ্য যা কয়েকটি পয়েন্টে পাইকারি ভাবে পরিচালিত হয়। এতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য হলেও সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে। তবে প্রশাসনের মাঝে মধ্যে অভিযান করতে দেখা যায়, অবৈধ ব্যবসায়ীরা প্রশাসনকে নানাভাবে ম্যানেজ করতে চেষ্টা করে।

অবৈধভাবে আশা এসব সিগারেটের মূল ডিলার মোঃ মাসুদ ও মোঃ রিপন। অনুসন্ধানে দেখা যায়, বায়তুল মোকাররম মার্কেটের ফুটপাতের দোকানে এসব অবৈধ সিগারেট বিক্রি করেন কতিপয় ব্যক্তি। আর মার্কেটের ভিতর থেকে সাপ্লাই দেন রিপন ও মাসুদ।

পল্টন মডেল থানা এলাকায় এমন শত শত অবৈধ বিদেশী সিগারেট বিক্রি করার দোকান পরিচালিত হয়, যা থেকে সরকার সম্পূর্ণরূপে রাজস্ব বঞ্চিত বলে জানা যায়। অবৈধ সিগারেট বাণিজ্যের মূল হোতা রিপন ও মাসুদের মাধ্যমে কতিপয় ব্যক্তি এসব সিগারেট স্থানীয় পর্যায়ে পৌঁছে দেয়, যা থেকে তারা মাসে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা পরিচালনা করে থাকে।

এসব অবৈধ সিগারেট লাগেজ পার্টি ও অন্যান্যদের মাধ্যমে রাজধানীতে প্রবেশ করছে যার মূল ক্রেতা নিয়মিত ধূমপায়ী ও উঠতি বয়সের তরুণেরা। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী, সব সিগারেটের প্যাকেটে 'ছবিযুক্ত সর্তকতা' এবং 'রাজস্ব স্ট্যাম্প' ব্যবহারের বাধ্যবাধকতা থাকলেও অবৈধ এসব সিগারেটের প্যাকেটে অনেক ক্ষেত্রে কিছুই লেখা থাকে না। এমনকি থাকে না, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ আবার নেই রাজস্ব স্ট্যাম্প।

চোরাই সিগারেটের ওপর বেসরকারি উদ্যোগে পরিচালিত এক বাজার জরিপে দেখা যায়, বিদেশি সিগারেট আমদানিতে ৩৫০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। চোরাই পথে দেশে আসা এসব অবৈধ সিগারেট থেকে সরকার প্রায় ১০০ কোটির উপরে রাজস্ব পাওয়ার কথা থাকলেও সরকার তা থেকে বঞ্চিত। অবৈধ পথে আনা এসব বিদেশি সিগারেটের চোরাকারবারীরা শক্তিশালী নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, দুবাই ও অন্যান্য দেশ থেকে এসব সিগারেট নিয়মিত আনছে।

দোকানিরা এসব অবৈধ বিদেশি সিগারেট বিক্রির প্রতি আগ্রহের মূল কারণ বৈধ সিগারেটের চেয়ে বিদেশি অবৈধ সিগারেট বিক্রিতে প্রায় ৪-৫ গুন বেশি মুনাফা হয়। যার ফলে জেল জরিমানা হলেও তারা এই মুনাফা থেকে ফিরতে চান না।