সোমবার   ১০ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৬ ১৪৩২   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ল অফিসার জসিম উদ্দীনের পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০৪:৪৯ পিএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ল্#৩৯; অফিসার এন.এ.এম. জসিম উদ্দীন এর পিএইচ,ডি ডিগ্রী লাভ। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের #৩৯; অফিসার জনাব এন. এ. এম. জসিম উদ্দীন বাংলাদেশ ও ভারতীয় পার্লমেন্টে আইন প্রণয়ন পদ্ধতিঃ একটি তুলনামূলক 
বিশ্লেষন (Legislative Procedure in Bangladesh and Indian Parliament: A Comparative Analysis) শীর্ষক অভিসন্দর্ভ রচনা করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এর আইন অনুষদের অধীন আইন বিভাগ হতে স¤প্রতি পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেছেন। ইসলামী
বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এর আইন বিভাগে গত ২৪ মে, ২০২৩ তাঁর মৌখিক পরীক্ষা (Viva Voce ) অনুষ্ঠিত হয়। তাঁর গবেষণা তত্ত্বাবধনেক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া এর আইন অনুষদের সাবেক ডীন, আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা। পরীক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোঃ হাসিবুল আলম প্রধান। বহি: পরীক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মানী রাণী দাস গুপ্তা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে গত ২৮ মে, ২০১৩ একাডেমিক কাউন্সিলের ১২৬ তম এবং ২৯ মে ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৫৯তম সভায় তাঁর পিএইচডি ডিগ্রী সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত হয় এবং তাঁকে পিএইচ.ডি ডিগ্রী প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ড.জসিম উদ্দীন ২০১২ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ হতে মুসলিম আইনে এম. ফিল ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি ২০১৬-১৭ সেশনে জাতির

জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের অনাবাসিক ছাত্র হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষণা কোর্সে রেজিস্ট্রেশন করেন। দীর্ঘ ৬ বছর ব্যাপী তিনি এ গবেষণা কর্মে নিয়োজিত ছিলেন। মাঝে করোনা কালীন সময়ের জন্য গবেষণা কর্মে কিছুটা বিঘ সৃষ্টি হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি গবেষণা কর্মের অভিসন্দর্ভটি যথাসময়ে রচনা করতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি তাঁর গবেষণা সুপারভাইজর প্রফেসর ড. সেলিম তোহার নেতৃত্বে
এবং তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধনে ও নির্দেশনায় গবেষণা কর্মটি সফলতার সাথে সম্পন্ন করেন। গবেষক ড. জসিম উদ্দীন এর এটি
একটি মৌলিক গবেষণা কর্ম। বাংলাদেশে কিংবা বহির্বিশ্বের কোথাও এ শিরোনামে পিএইচ.ডি ডিগ্রীর উদ্দেশ্যে এ ধরণের কোন গবেষণা কর্ম ইতোপূর্বে সম্পাদিত হয়নি এবং গবেষক গবেষণায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসরণপূর্বক গবেষণা কর্মটি সম্পাদন করেছেন মর্মে গবেষণা সুপারভাইজর এর প্রত্যয়ন হতে জানা যায়। সুপারভাইজর মহোদয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধনে ও নির্দেশনায় জনাব জসিম উদ্দীন গত ১৬ এপ্রিল, ২০২২ পিএইচডি ডিগ্রীর প্রথম সেমিনার এবং ২৮ মে, ২০২২ তারিখে দ্বিতীয় সেমিনার সাফল্যজনকভাবে উপস্থাপন করেন।গবেষণা কর্মটি রচনা করতে গিয়ে গবেষক দেশে-বিদেশে ব্যাপক সফর করেন। এর মধ্যে গত ৫ (পাঁচ) বছরে তিনি ৬ (ছয়) বার ভারত সফর করেন। ভারতের লোকসভা, রাজ্যসভা এবং প্রাদেশিক বা রাজ্য বিধান সভার কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শনপূর্বক লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা গবেষণা কর্মে প্রতিফলনের চেষ্টা করেন। অভিসন্দর্ভের মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও ভারতীয় পার্লামেন্টে আইন প্রণয়ন পদ্ধতির স্বরূপ উন্মোচন করা। একটি পার্লামেন্টকে আইন প্রণয়নে কি কি কাজ করতে হয়. কি
কি পদ্ধতি (Procedure) অবলম্বন করতে হয় এবং কি কি বাধার সম্মুখীন হতে হয় ইত্যাদি বিষয়ে চুল-চেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে অভিসন্দর্ভটি রচনা করতে হয়েছে। আধুনিক পার্লামেন্টসমূহ বহুমুখী, বিভিন্নমুখী এবং বহুমাত্রিক কাজ করে থাকে। পার্লমেন্টের এ সকল বিভিন্নমুখী কার্যাবলীর মধ্য থেকে শুধুমাত্র আইন প্রণয়ন সম্পর্কে অভিসন্দর্ভের আলোচনা, সমালোচনা পর্যালোচনা এবং গবেষণা সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এতদ্বারা প্রায় আড়াইশ পৃষ্ঠার অভিসন্দর্ভ রচিত হয়েছে। ইতোপূর্বে ড. জসিম উদ্দীন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী জনাব মোঃ মুজিবুল হক এর সহকারী একান্ত সচিব এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লেজিসলেটিভ ড্রাফটসম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা-১০ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং জাতীয়
সংসদের বেসরকারী সদস্যদের বিল এবং বেসরকারী সদস্যদের সিদ্ধান্ত -প্রস্তাব সম্পর্কিত কমিটির মাননীয় সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস (বর্তমানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র) এর একান্ত সচিব হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ড. জসিম উদ্দীন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হন এবং বোর্ড বৃত্তি লাভ করেন। পরবর্তীতে তিনি কৃতিত্বের সাথে এলএলবি (সম্মান) এবং প্রথম শ্রেণীতে
এলএল.এম ডিগ্রী লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন কালে তিনি অগ্রণী ব্যাংক বৃত্তি লাভ করেন। তিনি তাঁর পিতার কর্ম প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ট্যোবাকো কোম্পানী লি. বিটিসি (বর্তমানে
ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানী বিএটি) হতে মেধা বৃত্তি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি কুমিল্লা জেলা পরিষদ হতেও মেধা
বৃত্তি লাভ করেন। ড. জসিম উদ্দীন সরকারী চাকুরীর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ল্#৩৯; কলেজে খণ্ডকালীন
অধ্যাপনায় (Adjunct Faculty Member) নিয়োজিত আছেন। এর মধ্যে রয়েছে নর্দার্ণ ইউনিভার্সিটি, গ্রীন ইউনিভার্সিটি, আইডিয়াল ল #৩৯; কলেজ এবং মেট্রোপলিস আইডিয়াল ল #৩৯; কলেজ ইত্যাদি। তিনি বিশ্ব শিক্ষক দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে ইভান্স গ্রুপ ও এডুকেশন ওয়াচ কর্তৃক ল #৩৯;কলেজ ক্যাটাগরীতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মশিউর রহমান এর কাছ থেকে শিক্ষার্থী মনোনীত সেরা শিক্ষক এর সম্মাননা স্মারক পদক লাভ করেন। এছাড়া ল্#৩৯; কলেজের শিক্ষকতায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ আইডিয়াল ল #৩৯; কলেজ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সম্মাননা স্মারক পদক লাভ করেন। আইন শাস্ত্রের উপর তিনি বেশ কয়েকটি গ্রন্থও রচনা করেছেন। যেগুলি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগসমূহে এবং বাংলাদেশের আইন কলেজসমূহে পাঠদান করা হয়ে থাকে। গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ইকুইটি ও ট্রাস্ট আইন, বাংলাদেশ আইন, ২০০৬ সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন, ১৮৭৭, বাংলাদেশ রাজস্ব আইন, ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮, এবং দন্ডবিধি, ১৮৬০ ইত্যাদি। তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিন এবং জার্নালে আন্তর্জাতিক আইন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সমসাময়িক বিষয় এবং মানবাধিকার বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখি করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্ন প্রণেতা ও পরীক্ষক হিসেবেও দায়িত্ব ‘পালন করে আসছেন। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও আইন কলেজসমূহে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে বহিঃ পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের এডভোকেটশীপ পরীক্ষায় কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়ে সনদ অর্জন করেন এবং ঢাকা জজ কোর্টের সদস্যপদ লাভ করেন। ড. জসিম উদ্দীন ঈড়ষড়সনড় চষধহ এর অধীনে ভারতের লোকসভা দিলীতে #৩৯' International Training on Legislative Drafting for Foreign
Parliamentary officials& #39; Gi Dci #নং৩৯; এর উপর দুই মাস ব্যাপী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি খবমরংLegislative Procedure Gi Ask এর অংশ হিসেবে বৃটিশ পার্লামেন্ট এর হাউজ অব লর্ডস ও হাউজ অব কমন্ধসঢ়;স এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদ ও সিনেটের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি দেশে- বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার সিম্পোজিয়াম ও কর্মশালায় যোগদান করেন। এর মধ্যে রয়েছে ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিপুরা গভর্ণমেন্ট ল্#৩৯; কলেজ, ঈশ্বর পাঠশালা আগরতলা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়,দিলী বিশ্ববিদ্যালয়, হেদায়েতুল্লাহ #৩৯;ন্যাশনাল ল্#৩৯; ইউনিভার্সিটি, রায়পুর ছত্তিশগড়, বেইজিং ফরেন স্টাডিজ ইউনিভার্সিটি, চায়না, ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি । ড.জসিম উদ্দীন সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা এবং সরকারী পরিদর্শন টিমের সদস্য হিসেবে পৃথিবীর অনেক দেশ ভ্রমণ করেন। এগুলির মধ্যে রয়েছে ভারত, চায়না, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদিআরব, তুরষ্ক, যুক্তরাজ্য কানাডা এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তিনি সরকারী প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে পবিত্র হজ্জ্বব্রত পালন করেন। তিনি বিবাহিত এবং দুই পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী মিসেস সেলিনা আক্তার গৃহিনী। জ্যেষ্ঠ পুত্র সাকিব মাহমুদ ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এল-এল.বি (সম্মান) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। কনিষ্ঠ পুত্র শাফায়াত মোহাম্মদ (সাব্বির) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিবিএ (সম্মান) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। তিনি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের চৌধুরী গাজী কবিরাজ বাড়ীর মরহুম হাজী মোঃ সোনামিয়া এবং মরহুমা মাহমুদা খাতুনের তৃতীয় পুত্র। তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।