ঢাকায় ৫৮তম ডিজিসিএ সম্মেলন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১২:৪১ পিএম, ১৫ অক্টোবর ২০২৩ রোববার
ঢাকায় আইসিএও-এপিইসির ৫৮তম ডাইরেক্টর জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশনের (ডিজিসিএ) সম্মেলন শুরু হয়েছে।
আজ রোববার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৮টায় প্যান প্যাসিফিক হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ সম্মেলন শুরু হয়। আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত এ সম্মেলন চলবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, আইকাও-এর সভাপতি সালভাতোর সাকিতানো, মহা-সচিব হুয়ান কার্লোস সালাজার, আঞ্চলিক পরিচালক তাও মা। এছাড়া এ সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রায় ৪৭টি দেশ এবং ১৩টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিসহ ৫০০ জন বিদেশী ডেলিগেট অংশ নিয়েছেন।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, এ বছর সম্মেলনটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে প্রমোটিন আইসিএও জেন্ডার ইকোয়ালিটি প্রোগ্রাম ইন কনজাকশন উইথ নেক্সট জেনারেশন অফ এভিয়েশন প্রফেশনালস ইনেটিয়েটিভ (এনজিএপি)। যার প্রথম উদ্দেশ্য হলো জেন্ডার সমতা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা পালনের চেষ্টা করা এবং অপরটি হল এভিয়েশন সেক্টরে আগামী দিনের জন্য দক্ষ ও প্রতিশ্রুতিশীল কর্মী গড়ে তোলা।
পাঁচ দিনব্যাপী আসরটি বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে। ইন্টারন্যাশনাল সিভিল অ্যাভিয়েশনের (আইসিএও) ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভার পর এটিই আঞ্চলিক পর্যায়ে সবচেয়ে বড় আয়োজন। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকনির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আইসিএও’র সদস্যপদ লাভ করে।
আইকাও এর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে দ্বিতীয়বারের মতো এ সম্মেলন আয়োজন করছে। এ সম্মেলনে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশসমূহের মহাপরিচালকরা অংশ নিয়েছেন।
বেবিচক সূত্র জানায়, করোনা পরবর্তী অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল অবস্থা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এ সম্মেলন এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এছাড়া ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে এভিয়েশন খাতেরও উন্নয়ন প্রয়োজন।
এ সম্মেলনে এভিয়েশন খাতে এভিয়েশন সেফটি, এয়ার নেভিগ্রেশন, এভিয়েশন সিকিউরিটি, ফেসিলিটেশন, এয়ার ট্রান্সপোর্টসমূহের উন্নয়ন, পরিবেশ বিপর্যয় রোধ, এভিয়েশন খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রায়োগিক দিক ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে এবং সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হবে। সম্মেলনে উত্থাপিত সুপারিশমালা পরবর্তী আইকাও এর সাধারণ সভায় উত্থাপিত হবে।
