সোমবার   ১০ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ২৬ ১৪৩২   ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর’র নতুন প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০১:১২ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার

সোমবার (৯ অক্টোবর) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের কাছে তিনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলাদেশে যোগদানের আগে সুম্বুল রিজভী জেনেভায় ইউএনএইচসিআর’র প্রধান কার্যালয়ে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। সুম্বুল রিজভী বলেন, বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর এর প্রতিনিধি হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি, উদার মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে বাংলাদেশ প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান ও তাদের সমস্যা সমাধানে আবার যুক্ত হতে পেরে উৎসাহী বোধ করছি। বাংলাদেশ সরকার, মানবিক কার্যক্রমের অংশীদার সংস্থা ও সুশীল সমাজের সঙ্গে সম্পর্ককে সুদৃঢ় করতে হবে, যেন রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় দানকারী স্থানীয় জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।'

বাংলাদেশের সঙ্গে ইউএনএইচসিআর’র সম্পর্ক ১৯৭১ সাল থেকে । রিজভী হলেন বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর’র নিয়োগপ্রাপ্ত দ্বাদশ প্রতিনিধি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডির পক্ষ থেকে নিযুক্ত হয়ে তিনি বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর’র সর্বোচ্চ কর্মকর্তা হিসেবে সরকার, মানবিক সংস্থা, সুশীল সমাজ ও শরণার্থীদের সঙ্গে কাজ করবেন।

তিনি ২০১৮ সালে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে একজন সমন্বয়ক হিসেবে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সকল মানবিক সংস্থার সমন্বিত সহায়তা কার্যক্রমের সূচনা করেছিলেন।

আগামী কয়েক সপ্তাহ সুম্বুল রিজভী সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ, মানবিক কার্যক্রমের অংশীদার সংস্থার প্রতিনিধি, শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় জনগণের সঙ্গে দেখা করবেন।

ভারতীয় নাগরিক সুম্বুল রিজভী তার ৩৫ বছরেরও বেশি সময়ের কর্মজীবনে কাজ করেছেন মানবাধিকার ও মানবিক সহায়তা নিয়ে এবং ভারতীয় আদালতে লিটিগেটিং কাউন্সেল (মামলা বিষয়ক পরামর্শদাতা) হিসেবে, এনজিও উপদেষ্টা হিসেবে এবং জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করেছেন।
তিনি বিভিন্ন দেশে কাজ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে ইরাক, আফগানিস্তান ও সুদানের দারফুর। সিরিয়া ও কিরঘিজিস্থানের সংকটের প্রথম দিকে তিনি জরুরি সহায়তা ও সমন্বিত মানবিক কার্যক্রমের অবকাঠামো প্রতিষ্ঠা করেছেন। এছাড়াও রিজভী কাজ করেছেন ভূমধ্যসাগর সংকটের সময় ইউএনএইচসিআর’র আশ্রয় ও অভিবাসন সংক্রান্ত পলিসি এডভাইজর হিসেবে এবং গ্লোবাল মাইগ্রেশন ফোরাম ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে।