সোমবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৫ ১৪৩২   ০৯ রজব ১৪৪৭

যশোর বনবিভাগ কর্তৃক সরকারি জমির উপর দৃশ্যমান বনজ বৃক্ষের বাগান

শেখ সোহরাব, যশোর:

প্রকাশিত : ০৮:৩৭ পিএম, ৯ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার

বনবিভাগ কর্তৃক সরকারি জমির উপর যশোরের দেয়াপাড়া মাথাভাঙ্গা ব্রীজ হইতে ঘোষনগর বুজ তলা পর্যন্ত ৭কি: মি: টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় দৃশ্যমান, ঔষধী, ফলদ ও বনজ বৃক্ষের বাগান তৈরি করা হয়েছে।

বনায়ন কর্মসূচীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কার্যালয় যশোর থেকে  বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা উৎপাদন করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ৯ টাকা দরে বিক্রি করছে সামাজিক বন বিভাগ। ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি সুস্থ্য প্রজন্মের দেশ গড়ি’ স্লোগানে মানুষের কাছে চারা পৌছয়ে দিতে এই কর্মসূচী হাতে নিয়েছে সামাজিক বন বিভাগ।
অপরদিকে বাগান সৃজন(তৃতীয় আবর্ত) প্রকল্পের আওতায় ৫ কিলোমিটার বনায়ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এতে পরিবশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ।
গাছ ক্রয় করতে আসা রফিক হাসান বলেন, এতো স্বলমূল্যে  গাছের চারা কিনতে পারবো তা আগে ভাবিনি। আমি বেশ কিছু গাছের চারা ক্রয় করেছি কয়েকদিন পরে এসে আরো ক্রয় করবো। আমার অনেক পতিত জমি রয়েছে। এতো স্বল্প মুল্যে চারা পেলে ওই সকল জায়গায় লাগিয়ে দিবো। এই উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশংসা করেন তিনি।
যশোর বন বিভাগের সামাজিক বনায়ন নার্সারী ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল খালেক জানান, পরিবেশ, পুষ্টি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সামাজিক বনায়নের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে। দেশে একদিকে যেমন বন উজাড় হচ্ছে অন্যদিকে কলকরখানার বর্জে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। পরিবেশ বিপর্যয়ের এই মারাত্নক ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাওয়ার উত্তম অবলম্বন হচ্ছে সামাজিক বনায়ন। আর এই কারণে সরকার সামাজিক বনায়নের বিপ্লব ঘটানোর জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় যশোরে বন বিভাগ থেকে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যশোর রেঞ্জের আওতায় এবছর স্বল্প মূল্যে ৫০ হাজার গাছের চারা বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগে আসলে আগে পাবেন এই পদ্ধতিতে চলছে চারা বিক্রি। প্রতিটি চারার মুল্য মাত্র ৯ টাকা। তিনি বলেন, চারা বিক্রির ক্ষেত্রে বনবিভাগ কোন লাভ করেনা।
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম বলেন, যশোরে এই প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। প্রকল্পটিতে বিনা খরচে অতি লাভের সুযোগ থাকায় জমির মালিকসহ নিম্ন আয়ের মানুষ এগিয়ে আসছে। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হচ্ছে অপরদিকে বৃক্ষ রোপন করে সাধারণ মানুষ লাভবান হচ্ছেন।