মঙ্গলবার   ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ১৫ ১৪৩২   ১০ রজব ১৪৪৭

গোয়াইনঘাটে ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি নিয়ে বিদ্রোহ কর্মীদের ঝাড়ু মিছিল

জাকির হোসেন সুমন

প্রকাশিত : ১১:০০ এএম, ২ আগস্ট ২০২৩ বুধবার

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবলীগের আওতাধীন ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে অবশিষ্ট ৬টি ইউনিয়নের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।২নং পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটিতে দেলোয়ার হোসেন লনিকে আহ্বায়ক ও হেলাল উদ্দিন এবং কবির আহমদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।

৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নে এডভোকেট রাসেদ পারভেজ লাভলুকে আহ্বায়ক ও রফিক সরকার এবং শেরগুল গুসাই, সুহেল আহমদ, রুবেল আহমদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। ৫নং পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নে গোলাম করিম শামিমকে আহ্বায়ক ও ফয়সল আহমদ এবং মোশাহীদ আলীকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। ১০ নং পশ্চিম আলীরগাঁও ইউনিয়নে আবুল খায়েরকে আহ্বায়ক ও ইনশাদ হোসেন রাজীব এবং আব্দুল করিমকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১সদস্য কমিটি। ১১নং মধ্যে জাফলং ইউনিয়নে শাহ আলমকে আহ্বায়ক ও জালাল উদ্দীন ও তোফায়েল আহমদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। ১২নং গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়নে মো: নজরুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে এবং বিলাল উদ্দিন ও সালেহ আহমদকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ২১সদস্য কমিটি।

এ দিকে কমিটি গঠনের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর থেকে ত্যাগী ও নিবেদিত কর্মীদের বাদ দিয়ে বিএনপি- জামায়াত ও আওয়ামী লীগের প্রকাশ্য শত্রুদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্তী করার কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 

পদ বঞ্চিতরা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক’র বিরুদ্ধে বাধ্য হয়ে শোকের মাসে ঝাড়ু ও জুতা মিছিল দিয়ে কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে ত্যাগী এবং দলের জন্য নিবেদিতদের মূল্যায়ন করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে কথা হলে গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন যুবলীগের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, আমি অবিলম্বে উক্ত কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি। আওয়ামীলীগের ত্যাগী, আদর্শবান নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে জামায়াত, বিএনপিসহ বিভিন্ন দলের হাইব্রিড নেতাদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে এটা কখনো মেনে নিতে পারিনা। 

উক্ত কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক হয়ে আসা সালেহ আহমদ বিএনপির সাবেক কর্মী। সে বিগত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে একত্রিত হয়ে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের পিটিয়েছিলো।

১২নং গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন যুবলীগের নতুন কমিটির সদস্য এম সালেহ আহমদ তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেন- সদর ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি হেরে গেলো আজ টাকার কাছে। তিনি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির দুই নেতার ছবি দিয়ে লিখেন- অভিনন্দন নেতাজি দেখা হবে গোয়াইনঘাটের রাজপথে ইনশাআল্লাহ।

রুবেল আহমদ উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন- পূর্ব জাফলং যুবলীগের আহবায়ক কমিটিতে জাতীয় নির্বাচনসহ স্থানীয় সকল নির্বাচনে নৌকা বিদ্বেষীদের জয়জয়কার।

আওয়ামী যুবলীগ নেতা সিরাজুদ্দৌলা সুমন লিখেন- গোয়াইনঘাট উপজেলায় যুবলীগ টাকায় বিক্রি হয় এই ই ই লাগবে যুবলীগ লাগবে,,,,, ১/আহবায়ক-১৫০০০০/- ২/যুগ্ন আহবায়ক-১০০০০০, ৩/যুগ্ন আহবায়ক-৫০০০০/- যার যায় লাগবে আমাকে বলবেন আমি নেতাদের কাছ থেকে যুবলীগের পদ-পদবী এনে দিবো। জুবায়ের আহমদ শামীম নামের এক ব্যক্তি তার ফেইসবুক আইডিতে লিখেন- ফারুক ভাই দলকে ব্যবহার করে জিরো থেকে হিরো হয়েছেন।চেয়ারম্যান নির্বাচনে নৌকা পেয়েও শুধু ব্যক্তি জনসমর্থন না থাকায় নৌকানে ডুবিয়েছেন। আবার গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবলীগকে ধ্বংস করে দিচ্ছেন। আপনার যদি দলের প্রতি কোন অনুগত থাকে তাহলে যুবলীগের পদ ছাড়েন। সংগঠন কি আপনার বাপের কিনা? একই লোককে একই পেডে দুই পদে রেখে সংগঠনকে বিতর্কিত করা? এদিকে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে সাত টায় গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে যুবলীগের ৭জন নেতা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছেন। এ নিয়ে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ জনমনে সমালোচনার ঝড় বইছে।