গাজীপুর নুহাশপল্লীতে হুমায়ূন আহমদের ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন।
নজরুল ইসলাম, গাজীপুর উত্তর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : ০৭:৫৩ পিএম, ১৯ জুলাই ২০২৩ বুধবার
জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ১১ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। লেখকের নন্দনকানন নুহাশপল্লী যেখানে তিনি চিরশায়িত সেখানেও তাঁর পরিবারের স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করলেন। তবে করোকালের বাস্তবতায় অনাড়ম্বর আয়োজনে এবার এই লেখককে স্মরণ করা হলো।
সকালে লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই পুত্র নিনিত ও নিষাদ হুমায়ূনের উপস্থিতিতে কবর জিয়ারত করা হয়। এসময় হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশক, শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় লেখকের আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা করা হয়। প্রতিবারের মতো এবারো হুমায়ুন পরিবার, তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক আর নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচু তলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রূপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। তারা লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান। প্রয়াণ দিবসের স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন আহমেদের প্রকাশকেরা। এই লেখক ৫০ বছর ধরে বাঙালি পাঠক সমাজকে আনন্দ দিয়েছেন এবং বাংলা ভাষা যতদিন থাকবে ততদিন হুমায়ূন আহমেদ পঠিত হবে বলে জানান এই প্রকাশকরা।
কবর জিয়ারত শেষ মেহের আফরোজ শাওন গণমাধ্যমকে হুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্বক্ত করেন। তবে পারিবারিক সিদ্ধাহীনতার কারণে ক্যান্সার হাসপাতাল ও জাদুঘর নির্মাণ শুরু করতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে জম্ম গ্রহণ করেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণ ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান।
বিশ্বমানের একটি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা এই লেখকের স্বপ্ন ছিল। তা এখনো বাস্তবায়ন করা যায়নি। সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে এদেশের সকল ভক্ত ও অনুরাগীদের হৃদয়ে কথাশিল্পী হুমায়ূন আহমেদ চিরকাল বেঁচে থাকবেন এমনটাই আশা করছেন শুভানুধ্যায়ীরা।
