পদ বাণিজ্যের অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতাকে অব্যাহতি
নজরুল ইসলাম,গাজীপুর উত্তর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:০১ পিএম, ১৮ জুন ২০২৩ রোববার
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে পদ দেওয়ার নামে বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে ১ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে গাজীপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জুবায়ের ইসলামের বিরুদ্ধে। তার কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
অডিও রেকর্ডে মির্জাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী আবু জায়েদ মঈন নামে
ছাত্রলীগ কর্মীর কাছে বিয়ের অনুষ্ঠানের কথা বলে টাকা দাবি করেছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে গাজীপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে অব্যাহতির বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে জেলা কমিটি।
ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদ দেওয়ার কথা বলে আবু জায়েদ মঈন নামের এক ছাত্রলীগ কর্মীর কাছে ১লাখ টাকা দাবি করেন। এ সময় আবু জায়েদ মঈন যদি এসব কথা কাউকে বলে তাহলে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
কমিটি অনুমোদনের আগে অডিও রেকর্ডে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জুবায়ের ইসলাম মির্জাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী আবু জায়েদ মঈনকে বলেন, নেতার বিয়ে অনুষ্ঠানের জন্য নাছির মোড়ল প্রতিটি উপজেলায় চাঁদা ধরেছে। আমাকে ধরেছে ৩ লাখ, তুমি কত দিতে পারবা আমারে। আমি কিছু ম্যানেজ করতেছি এখন তুমি ১লাখ টাকা দেও আমার একটু উপকার হবে। আর যদি আমি তোমাকে নেতা না বানাতে পারি তাহলে তুমি আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নিও। আর একটা কথা মনে রাখবা নেতারা যার কাছ থেকে টাকা খায় তারে নেতা বানায়। নাসির ভাই আমার কাছ থেকে টাকা খাইছে আর আমারে নেতা বানাইছে।
অডিও রেকর্ডে তাকে আরো বলতে শোনা যায়, আমি কিন্তু সবার কাছে টাকা চাই না। এসব কথা যাতে কেউ না জানে। আমারে আর তোমারে ছাড়া যদি কেউ জানে খোদার কসম ছাত্রলীগ থেকে তোমারে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করাম।
ভাইরাল হওয়া কথোপকথনে মির্জাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী আবু জায়েদ মঈন বলেন, ভাই এগুলি আর কথাই কয়েন না, এগুলো আমরা বুঝি। মোটামুটি আমার রাজনীতির বয়স ১৪ বছর। আমি আম্মুর কাছে যাইতেছি আম্মুর লগে কথা কইতেছি পরে জানাবো। আপনে টেনশন কইরেন না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জুবায়ের ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তারপর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুলতান সিরাজুল ইসলাম ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাছির মোড়ল কে একাধিক বার ফোন দিলেও ফোন ধরেননি। তবে নাছির মোড়লের ফেজবুক পেইজে অব্যাহতির একটি বিজ্ঞপ্তির চিঠি পোস্ট দিয়ে প্রকাশ করেছেন।
