কালীগঞ্জে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বিপাকে সাধারণ মানুষ
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:১৬ পিএম, ১৭ জুন ২০২৩ শনিবার
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার সবজি, মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়সীমার বাইরে। লাগামহীন ঊর্ধ্বমুখী। এতে নিন্ম আয়ের মানুষের মধ্যে হাঁসফাঁস বেডছে। কাঁচাবাজার ও মুদি দোকানের দ্রব্যাদি যেন সাধারণ মানুষের হাতের নাগালেই আসছে না। উপজেলার জামালপুর বাসাইর বাজার, দোলান বাজার, নরুন বাজার, নাগরী বাজার, আওড়াখালি বাজারসহ কালীগঞ্জের বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ-মাংস-সবজিসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়তি থাকায় কেনাকাটায় হিমশিম খাচ্ছে ক্রেতারা। কালীগঞ্জ বাজারের স্বনামধন্য হোটেল ব্যবসায়ী কাউন্সিলর বাদল হোসেন ভূইয়া প্রতিবেদককে জানান, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, শশা ৬০ টাকা, গাজর ১২০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৪০ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা, ঝিঙে ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১২০ টাকা পিস মাঝারি ও চাল কুমড়া ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই হোটেলে খাবারের মূল্য বৃদ্ধি না করে পারছিনা। জামালপুরের বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ ইসমাইল শেখ জানান, জামালপুর বাসাইর বাজারে অত্র এলাকার বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা প্রচুর পরিমানে তরিতরকারী বাজারে আনলেও পাইকাররা তা কিনে ফেলে। হাত বদলের কারনে পাইকাররা তখন সকল জিনিষের দাম বাড়িয়ে দেয়। এতে করে দ্রব্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে যাচ্ছে। কালীগঞ্জ পৌর বাজারে দাম বেড়েছে মাছ, মুরগি, ডিম, কাঁচামরিচ ও বিভিন্ন সবজির। বাজারে আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকা, দেশী পেঁয়াজ ৭৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৫০ টাকা, দেশী আদা ৩৮০ টাকা, দেশী রসুন ১৬০ টাকা, চীনা রসুন ১৬০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭৫ টাকা, খোলা চিনি ১৩০ টাকা, প্যাকেট চিনি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা দানার মসুর ডাল ১০৫ টাকা ও ছোট দানার মসুর ডাল ১৪০ টাকা কেজি নেওয়া হচ্ছে। পৌর এলাকার মুরগি ব্যবসায়ী কিরণ জানান, ফারমের মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি মুরগির দাম ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ১৯০ টাকা ও কক বা লেয়ার ৩০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি ডিম এখন ৪৮ টাকা। গরুর মাংসের দাম অপরিবর্তীত রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। আর খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ৯০০
টাকায়। বাজারে মাছের দামও চড়া। মাঝারি ইলিশ ১০০০ থেকে ১২০০, বড় রুই ও কাতল ৩৮০-৪২০ টাকা, বড় তেলাপিয়া মাছ ২৪০ টাকা, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা, কৈ ৩৫০, পাঙাশ ২০০-২২০ টাকা, চিংড়ি (ছোট) ৬০০টাকা, চিংড়ি (বড়) ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সোম বাজার এলাকার খুচরা মুদি দোকানদার মোঃ এমরান হোসেন বলেন, মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ও ইউক্রেন যুদ্ধের
কারনে সকল প্রকার পণ্যের দাম বেড়েছে। তবে স্থানীয় প্রশাসন ইচ্ছে করলে বাজার নিয়ত্রনে রাখতে পারে।
