অশ্লীল ভিডিও ফাঁস নিয়ে যা বললেন এমপি এনামুল
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২৩ রোববার
রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের এমপি ও বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের 'অপ্রীতিকর ভিডিও'
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।কয়েকদিন যাবৎ ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল।ভিডিওটির সময়সীমা ৫ মিনিট ১০ সেকেন্ড।
এদিকে,ভিডিও ভাইরালের পর থেকে রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে আলোচনা সমালোচনা।বাগমারাবাসী এ নিয়ে পড়েছে চরম বিড়ম্বনায়।একজন জনপ্রতিনিধি ও শিল্পপতি হওয়ার পরেও একের পর এক নারী কেলেংকারী,তাঁর চারিত্রিক স্খলনের স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করছেন বাগমারাবাসি।এরকম জনপ্রতিনিধির কাছে নারীরা সুরক্ষিত নয় বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক নেতারা।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়,সংসদ সদস্য ইঞ্জি: এনামুলের মতো একজন এক নারীর সাথে কথা বলতে।ঔ নারীকে বলতে শোনা যাচ্ছে যে, হাজার কোটি টাকা লোন পাওয়া কি এতো সহজ।তুমি দুই কোটি টাকা লোন নিতে যাও তো, কত ঠেলা।কোন বেটি বলেছে আমার এতো টাকা লোন আছে,বেয়াদব মহিলা।
তিনি এসময় বলেন,আমি কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক।আমার ব্যাংকের যে লোন আছে,তার দশগুন টাকার গাড়ি আছে।সম্পদও আছে প্রচুর।তার ব্যবহৃত পাজেরো গাড়ি আছে ৭টা।গাড়িগুলোর দাম কোটি কোটি টাকা।মেয়েটিকে তিনি বিশ্বাস দিতে বলছেন, আমি যে গাড়িতে চড়ি তার দাম ৬ কোটি টাকা।এরকম ৪টি গাড়ি আছে, তোমার ভাবী ও আমার ছেলের কাছে।আমার লোন নিয়ে ঐ বেটির লাভ কি ?মেয়েটিকে তিনি ফোর্স করে বলেন,কথা বলো না কেনো ? কথা না বললে আমি ফোন রেখে দিবো।
এদিকে,বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর কলাবাগান থানায় এ ঘটনায় এমপি এনামুল একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ভিডিও ফাঁসের বিষয়ে বাগমারা আসনের এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এরকম ভিডিও ভাইরালের কথা আমি শুনেছি।ইতোমধ্যে আমি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।কে বা কারা আমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করে এমন করেছে বলে আমার ধারণা।তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকারকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি অসুস্থ।আর এরকম কোন বিষয় আমার জানা নাই।
কথা বললে তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন,আমরা বাগমারাবাসী হতাশ।এমন একজন এমপি পেয়েছি,যার নারী কেলেংকারীর ঘটনা,দুদিন পর পর প্রকাশ পায়।তার নিকট নারী ভোটারসহ কর্মীরা নিরাপদ নয়।অনেক নারী কর্মী এখন আতংকে আছেন।বাগমারায় নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।
তিনি আরও বলেন,এমপি কখনো আওয়ামী লীগ করেনি।তিনি এখন জামায়াত-বিএনপির প্রশ্রয়দাতা।এখন বাগমারায় তাঁর পাশে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা কর্মী নেই,আছে কিছু হাইব্রিড পাতি নেতা।
উল্লেখ্য,অপর প্রাপ্তে কথা বলা ঐ নারী পরিচয় পাওয়া যায়নি।ভিডিওটিতে তাঁর কথাগুলোও শুনা যায়নি।
প্রসঙ্গত,এর আগেও এক নারী তার বিরুদ্ধে বিয়ের নামে প্রতারণা করার অভিযোগ তুলেছিলো।ঐ নারী সে সময় তার চারিত্রিক স্খলনের বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরেন।এছাড়াও সে বিভিন্ন সময়ে অসহায় নারীদের অর্থনৈতিক সুবিধা দেওয়ার কথা বলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।লোক সমাজের ভয়ে অনেকেই সে সময় মুখ খোলেনি।তবে এখন অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন।
