এসডিজি বাস্তবায়ন বড় চ্যালেঞ্জ: তাজুল ইসলাম
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৬:৪১ পিএম, ২২ মার্চ ২০২৩ বুধবার
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমি মনে করি এসডিজি বাস্তবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের জন্য।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং চলমান অর্থনৈতিক অস্থিরতা এর মূল কারণ। এজন্য স্বল্পোন্নত, উন্নত, উন্নয়নশীল সব দেশকে একসাথে কাজ করতে হবে।
বুধবার (২২ মার্চ) রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বিশ্ব পানি দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত ‘পানি ও স্যানিটেশন সংকট সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিত করা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে বাজেট বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। সেই সাথে পানি ও স্বাস্থ্যসেবা খাতেও বরাদ্দ বেড়েছে। আমরা বরাদ্দের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করছি। সুতরাং আমরা নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কাজ করছি।
কৃষি এবং শিল্পায়নের জন্য পানি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে পানির সংকট নেই, কিন্তু নিরাপদ পানির অভাব। ঢাকায় এটা আরও প্রকট, কারণ ঢাকায় নদী দূষিত। এজন্য সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, পানি একটা মৌলিক প্রয়োজন। কিন্তু, সারা পৃথিবীতেই নিরাপদ পানির একটা সংকট রয়েছে। বাংলাদেশ এই খাতে ভালো করছে, ভবিষ্যতেও সুইডেন সরকার এই খাতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক মো. সারওয়ার বারী বলেন, এই বছরের এই দিনটি আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বছর শুধু পানি নয়, বরং স্বাস্থ্যখাতের সংকটের জন্যও। বর্তমানে সরকার দেশের সব মানুষের কাছে নিরাপদ পানি পৌঁছে দিচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প চালু রয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ এসডিজি গোল বাস্তবায়নে কাজ করছে পানি ও স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়ন প্রচেষ্টার মাধ্যমে। নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে পৌরসভাগুলোতে নিরাপদ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একাধিক প্রকল্প চালু আছে। এসডিজি টার্গেট অর্জনে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং এই লক্ষ্যে আমাদের আরও কাজ করতে হবে।
সেমিনারে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. সারওয়ার হোসাইন। সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মতিন উদ্দিন আহমেদ।
মূল নিবন্ধকে কেন্দ্র করে আলোচনা করেন বুয়েটের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. তানভীর আহমেদ, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ, আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বারডেন জাং রানা এবং ইউনিসসেফের প্রতিনিধিরা।
