কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২জন আহত ৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ১২:০১ পিএম, ১১ মার্চ ২০২৩ শনিবার
শিশুরা জানে না তাদের পিতা আর আসবে না
পুরো পাড়া জুড়ে চলছে শোকের মাতম। স্বজন ও গ্রামবাসীর আহাজারিতে বাতাস হয়ে উঠেছে ভারি। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে সবাই শোকে কাতর। তবে দেড় বছর বয়সি জিহাদ ও পাঁচ বছর বয়সি জিসান জানে না তাদের বাবা আর পৃথিবীতে নেই। আর কোনো দিনও ফিরবে না বাবা ।
বাড়িতে বাবার লাশ থাকলেও প্রতিবেশী আরেক অবুঝ চাচাতো বোনের কোলে খেলায় মগ্ন অবুঝ শিশু জিহাদ। কখনও হাসছে আবার কখনও কারও দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকছে শিশুটি। একই ভাবে বাবার লাশের খাটিয়া ধরে দাড়িয়ে আছে জিসান।
শুক্রবার দুপুরে লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বালিবাড়ি-হামলাবাড়ি ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হওয়া সোহাগের লাশ দাফন করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের দেবীদ্বার উপজেলার বেগমাবাদ এলাকার কেএমবি ব্রিক্সফিল্ডের সামনে সড়ক দূর্ঘটনায় শেখ সোহাগ(৩২) মারা যান। নিহত শেখ সোহাগ দেবীদ্বার পৌর এলাকার বালিবাড়ি গ্রামের শেখ বাড়ির মৃত শেখ আবুল হাসেমের বড় ছেলে। পেশায় সে মাইক্রোবাস চালক ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, নিহত শেখ সোহাগ(৩২) ও তার স্ত্রী হালিমা আক্তার(২৫)কে নিয়ে কালিকাপুর বাজার থেকে দুই পুত্র সন্তান ও পরিবারের সবার জন্য কাপড় কিনে সিএনজি অটোরিকশা যোগে বাড়ি ফেরার পথে বেগমাবাদ এলাকায় গেলে বিপরীতমুখী একটি টিআরএক্স মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সিএনজি অটোরিকশাটি সড়ক থেকে ছিটকে পাশ্ববর্তী নিচু জমিতে পড়ে যায়।
এসময় সিএনজিতে থাকা শেখ সোহাগ(৩২), তার স্ত্রী হালিমা আক্তার(২৫), বাজেবাকর গ্রামের মফিজুল ইসলামের স্ত্রী হাসনেয়ারা বেগম(৬০), মফিজুল ইসলামের কণ্যা ইয়াছমিন আক্তার(২৫), বিরাল্লা গ্রামের সিএনজি চালক সোহেল রানা(২৬), মুরাদনগর উপজেলার গুঞ্জর গ্রামের আকাশের ছেলে হাসান(৮) ও হামজার ছেলে ইকরামুল(৬) মারাত্মক আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সোয়া ৮টায় শেখ সোহাগ মারা যান। সোহাগের স্ত্রী হালিমা আক্তারের অবস্থাও আশংকাজনক বলে জানা যায়। হতাহত সকলেই একই পরিবারের স্বজন বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
