বৃহস্পতিবার   ০৮ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৪ ১৪৩২   ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

এখন ওষুধের অভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত : ০৩:৩৭ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার

বিদেশি মুদ্রার সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। ১৩ থেকে ১৫ দিনের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো বিদেশি মুদ্রা থাকছে না তাদের রিজার্ভে। এ কারণে সীমিত করতে হচ্ছে আমদানি, যার প্রভাব পড়েছে দেশটির ওষুধ খাতেও।ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির সংবাদে বলা হয়েছে, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের অভাবে পাকিস্তানের স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। হাসপাতালে ইনসুলিন ও ডিসপ্রিনের মতো ওষুধের স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। এমনকি মাথাব্যথার ওষুধও নাকি পাওয়া যাচ্ছে না।পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে এনডিটিভি জানাচ্ছে, সরকারি হাসপাতালগুলোয় মাত্র ১২ দিনের ওষুধ মজুত আছে। তারপর কী হবে, কেউ-ই তা জানে না। এ পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের ওষুধ কোম্পানিগুলোকে স্বল্প মূল্যে আরও বেশি পরিমাণ ওষুধ তৈরির নির্দেশ দিয়েছে সরকার। কিন্তু ওষুধ কোম্পানিগুলোর সংগঠনের অভিযোগ, ওষুধ তৈরির কাঁচামাল তাদের হাতে নেই।আসক্তি’।বেইল আউট নেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তান শীর্ষে, আর ২১ বার বেইল আউট প্যাকেজ নেওয়ায় দ্বিতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের সাবেক গভর্নর মুর্তজা সায়িদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাস্তবতা হলো, আমরাই আইএমএফের সবচেয়ে নিয়মিত গ্রাহক।’পাকিস্তানের গণমাধ্যম জিও নিউজের সঙ্গে আলাপচারিতায় সায়িদ ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের তুলনা দিয়েছেন। বলেন, ‘আমরা ও ভারত একই সময়ে একই সঙ্গে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু এই সময়ে ভারত মাত্র সাতবার আইএমএফের দ্বারস্থ হয়েছে। আর ১৯৯১ সালে মনমোহন সিংয়ের যুগান্তকারী সংস্কারের পর একবারও যায়নি।’পাকিস্তানের রিজার্ভ এখন ৩০০ কোটি ডলার। কিন্তু আগামী কয়েক বছরে তাকে ৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলারের ঋণ পরিশোধ করতে হবে।এ পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, পাকিস্তান নিশ্চিতভাবেই ঋণ খেলাপ করবে। এমনকি দেউলিয়াও হয়ে যেতে পারে। এদিকে কিছুদিন আগে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, পাকিস্তান ইতিমধ্যে দেউলিয়া হয়ে গেছে।