সেবায়েতের ন্যায্য অধিকার পুনঃবহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৬:১৩ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার

ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ধর্মীয় ব্যানারের অন্তরালে অনিয়ম বন্ধ, চলমান সকল কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ এবং মন্দিরের প্রধান সেবায়েতের পুনঃবহালের দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোটের উদ্যোগে গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোটের উপদেষ্টা ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত প্রধান মমতা রানী দাস, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোটের সভাপতি বিধান বিহারী গোস্বামী, এ্যাড. প্রতিভা বাগচিম, মহিলা মহাজোটের সদস্য পার্বতী রানী দাস, চিত্রা দত্ত, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের দপ্তর সম্পাদক কল্যাণ মন্ডল, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব পল্টন দাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
সংগঠনের সভাপতি এ্যাড. লাকী বাছাড় তার লিখিত বক্তব্যে জানান, এই সংগঠনটি মূলত হিন্দু অসহায় সুবিধা ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে। এরই ধারাবাহিকতায় এই অসহায় পরিবারটির আইনত ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা পাশে দাড়িয়েছি। তিনি বলেন, ঢাকেশ্বরী মন্দির সৃষ্টিলগ্ন থেকে বিশেষ করে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যে সেবায়েত এই মন্দিরটি আগলে রেখেছিল আজ তারা সেবায়েতের অধিকার থেকে বঞ্চিত। ভূমিসংক্রান্ত একমাত্র সেবায়েত হিসেবে মন্দিরের সিএস রেকর্ড হতে বর্তমান রেকর্ড পর্যন্ত তাই প্রমাণ করে। বাংলাদেশের সকল মন্দির পরিচালনা ব্যবস্থায় সেবায়েত প্রথা প্রচলন থাকলেও ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত আজ বিতারিত। চক্রান্তকারী মন্দির কমিটি মন্দিরের সংস্কারের কথা বলে ৭ দিনের জন্য মন্দিরের প্রধান সেবায়েত পরিবারটিকে বাহিরে থাকার অনুরোধ করে।
পরিবারটি কমিটির অনুরোধ রক্ষা করলেও আজ পর্যন্ত তাদেরকে সেবায়েত হিসেবে পুনঃবহাল করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, ১৯৯০ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গিয়ে মন্দিরের প্রধান সেবায়েত মমতা রানী দাসকে জড়িয়ে ধরে আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা ক্ষমতায় আসলে মন্দির ও সেবায়েতের উন্নয়ন ও সুব্যবস্থা করা হবে। একজন বিধবা নারী আজও সেই আশ্বাসের আসায় পথ চেয়ে আছে। দীর্ঘদিন মন্দিরের সেবক হিসেবে মন্দিরের অস্তিত্বের সাথে এই পরিবারটির অস্তিত্ব জড়িত। তিনি বলেন, মা শক্তি মা রক্ষাকারী।
মন্দিরে আমরা কালি ও দুর্গা মাকে প্রনাম দেই, মায়ের আশির্বাদ নেই। অপরদিকে ৭০ উর্ধ্ব বৃদ্ধ মাকে সেবায়েতের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আমরা অসম্মান করছি এটা কতটা শোভনীয়। তারা প্রধানমন্ত্রীর নিকট বৈধ একমাত্র প্রধান সেবায়েত হিসেবে তাদের পুনঃবহাল এবং মন্দিরে সকল অনিয়ম বন্ধের দাবিতে বিনীত হস্তক্ষেপ কামনা করেন।