রেজা আলীর মৃত্যুতে অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশনের শোক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : ০৭:০২ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সোমবার
ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আলীর (৮৩) মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামেন্দু মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক মুনির আহমেদ খানের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ শোক প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে বিজ্ঞাপন শিল্পের অন্যতম পথিকৃৎ বিটপী অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান রেজা আলীর মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। ১৯৬৮ সালে বিটপী প্রতিষ্ঠা করে তিনি এ দেশে বিজ্ঞাপন শিল্পের একটি শক্ত ভিত তৈরি করেছিলেন। ১৯৭১ এর অসহযোগ আন্দোলনের সময় ২২ মার্চ ‘বাংলার স্বাধিকার’ শীর্ষক ক্রোড়পত্র সংবাদপত্রে প্রকাশ ছিল বিটপীর একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর রেজা আলীর নেতৃত্বে বিটপী ধীরে ধীরে দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞাপনী সংস্থা হিসেবে গড়ে ওঠে। সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রেও বিটপীর বিশেষ অবদান রয়েছে। রেজা আলী পোশাকশিল্প ব্যবসায়েও সাফল্য অর্জন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আমরা মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং তার শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা যান রেজা আলী। তার ছেলে মিরান আলী বলেন, ‘বাবা কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। আজ দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাদ জোহর সিঙ্গাপুরের বিডেফোর্ড রোডের একটি মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।’
রেজা আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ৬২’র ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি গ্রেফতার হয়ে বেশ কয়েক বছর জেলে ছিলেন। পরে ১৯৬৩ সালে প্রাদেশিক সম্মেলনের মধ্যদিয়ে গঠিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটিতে সহকারী সাধারণ সম্পাদক হন।
ষাটের দশকের শুরু থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন ও বৃহত্তর গণ-আন্দোলনে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
