পৌষবিদায়ী উৎসব সাকরাইন
শাহরিয়ার ইসলাম শ্রাবণ
প্রকাশিত : ০৯:৩২ পিএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

পৌষবিদায়ী উৎসব সাকরাইন
শাহরিয়ার ইসলাম শ্রাবণ
সাকরাইনের সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার অনেক বাড়ির ছাদে ফুটানো হয় আতশবাজি ওড়ানো হয় ঘুড়ি ও ফানুস।
লগি হাতে তৎপর ওরা, দৃষ্টি আকাশের দিকে। একটা ঘুড়ি ভোঁকাট্টা হলেই ভোঁ-দৌড়। যে আগে পৌঁছাতে পারবে, ঘুড্ডিটা তার। বয়স ছয় কি সাত; ঘুড়ি শিকারের জন্য নিজের থেকে তিন গুণ লম্বা লগির মাথায় বেঁধে নিয়েছে ঝোপঝাড়। শনিবার ওদের দেখা গেছে রাজধানীর পুরান ঢাকার মহল্লার পথে পথে। আর এলাকার আকাশ রঙিন ঘুড়িতে সয়লাব! পৌষসংক্রান্তি উৎসবের ঘুড়ি।
পঞ্জিকামতে, বাংলা পৌষ মাসের শেষের দিন উদ্যাপন করা হয় পৌষসংক্রান্তি। বর্তমানে ‘পৌষসংক্রান্তি’ শুধু ‘সংক্রান্তি’ নামে পরিচিতি লাভ করেছে; আর পুরান ঢাকার মানুষ একে বলে ‘সাকরাইন’। পৌষ গেলে শীতটা জমাট বাঁধে। ঘরে ঘরে তখন রসাল পিঠা। শোনা যায়, পৌষের শেষে। ছোট বড় সবাই ঘুড়ি ও নাটাই। সব বাড়ির ছেলেপেলেরাই। ঘুড়ি ওড়ালে ঘটা করে সেসব দেখতেন গ্রামবাসী। এমনটা এখন আর হয় না। শহরেও শীত তার তীব্রতা খুইয়েছে। কিন্তু উৎসবটা রেখে গেছে। তাই ঘুড়ি ওড়ানো পৌষবিদায়ী উৎসবের অংশ হয়ে আছে।
শুক্রবার ও শনিবার পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে ‘সাকরাইন’ উৎসব উপলক্ষে ঘুড়ি ওড়ানো ছাড়াও ছিল নানা আয়োজন। শনিবার.প্রত্যেক মহল্লায়। বেশ কিছু বাড়িতে ভীষণ শব্দে বাদ্য বাজতে শোনা গেছে। খাওয়ার জন্য থাকে খিচুড়ি, গরুর মাংস। সারা দিন এলাকা কাঁপিয়ে বাজতে থাকে গান, চলতে থাকে নাচ। সন্ধ্যার পর শুরু হয় মুখে কেরোসিন-আগুনের খেলা, ফানুস ওড়ানো। বাড়ির ছাদগুলো থেকে আকাশে ছোড়া হয় শাঁখারীবাজার, চকবাজার থেকে কিনে আনা রং-বেরঙের আতশবাজি। অনেক রাত ডিজের সঙ্গে সঙ্গে নাচেন ছেলে মেয়েরা।