শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

নরসিংদীতে ব্যস্ত মৃৎ শিল্পীরা

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৫:৩৩ পিএম, ১১ এপ্রিল ২০১৯ বৃহস্পতিবার

আদিকাল থেকে পাল বংশীয়রা মাটি দিয়ে গৃহস্থলির দৈনদিন ব্যবহারের সামগ্রী হাড়ি,খেলনা জাতীয় হাতি,ঘোড়া,নৌকা,পুতুল,ব্যাংক,চুলা,টোপা,ফুলদানী,  পাতিল,সরা,শানকি,মগ,বদনা,ঘটি,রাই,কলস,মুড়ি ভাজার ঝাজুর-বৈঠা,পিঠার সাজ,মোটকসহ নানা ধরণের সামগ্রী তৈরী কাজে ব্যস্ত নরসিংদীর মৃৎ শিল্পীরা।শত-শত বছরের গ্রামীণ এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সহজ শর্তে সরকারি ঋণ সুবিধা দেয়ার দাবি নরসিংদী জেলার পাল বংশীয়দের।বাকি  মাত্র কয়েকদিন বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ।গ্রামগঞ্জে বসবে বৈশাখী মেলা।এই উৎসব রাঙ্গাতে প্রস্তুত হচ্ছে হাতি, ঘোড়া,পুতুল,ব্যাংক, টোপা,ফুলদানীসহ নানা রঙের খেলনা সমগ্রী।বাঙালীর চেতনায় বৈশাখী  মহা উৎসব উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে নরসিংদীর মৃৎ শিল্পীদের।দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে নারী-পুরুষ মৃৎ শিল্পীরা।পহেলা বৈশাখে জেলার বেলাব উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের পাল পাড়া,শিবপুর পাল পাড়া,পলাশ পাল পাড়া,রায়পুরা পালপাড়ার মৃৎ শিল্প`র ব্যাপক চাহিদার কারণে পুতুল,ব্যাংক,টোপা,বাটি,নৌকা,হাতি,ঘোড়াসহ নানা রঙের সমগ্রী তৈরী করার কারণে মৃৎ শিল্পীদের আরামের সুয়োগ নেই।কথা হয় বেলাব সুটরীয়া পাল পাড় গ্রামের মৃৎ শিল্পের সাথে জড়িত দেবচিত্র,অজিত চন্দ্র পাল,মদন চন্দ্র পাল,লবী রানী পাল,রবিন্দ চন্দ্র পালের সাথে।তারা বলেন,তারা কোন রকমে বংশিয় পেশা ধরে রেখেছে।বছর শুষ্ক মৌসুমে কার্তিক মাস হতে চৈত্র মাস পর্যন্ত এই  পাঁচ মাস মৃৎশিল্পের কাজ করে  দুই থেকে আড়াইশত টাকা আয় করেন।বছরের বাকী সাত মাস মুজুরী বিক্রি করে সংসাস চালায় তারা।পলাশ পাল পাড়া গ্রামের ধীরেন্দ্র চন্দ্র পাল ও মিঠু চন্দ্র পাল বলেন,সরকারি পৃষ্টপোষকতা পাওয়া গেলে তাদের এই শিল্প এভাবে ধংস হতনা