রোববার   ০৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ২০ ১৪৩২   ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

জবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন, জয় - পরাজয়ে নীল দলের ভাঙ্গন

মাহির আমির মিলন  জবি প্রতিবেদক

প্রকাশিত : ০৩:১৯ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২১ সোমবার

আগামীকাল (সোমবার) সকাল নয়টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে বিরতিহীন নির্বাচনের  ভোটগ্রহণ। তবে, আগামীকাল জয় - পরাজয়ের মাধ্যমে বিভক্ত হবে নীল দলের দুটি গ্রুপ বলে জানিয়েছে শিক্ষক সমিতির একাধিক সদস্য। 

এদিকে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সাদা দল। বরাবরের মতো তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলেও পরোক্ষভাবে নির্বাচনে নীল দলের জয়-পরাজয়ে সুবিধা নেবে বলে জানিয়েছে নীল দলের একপক্ষ। 

নির্বাচনে এবার ৬টি পদে মোট ৩০ জন পদ প্রত্যাশী শিক্ষক লড়াই করছেন এবং মোট ভোটার ৬৮৩ জন। যারমধ্যে থেকে ১৫ জন নির্বাচিত হবেন। এছাড়াও  সদস্যপদে ১০ জন ও বাকি ৫ পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন। নির্বাচনে সভাপতি পদে ২ জন, সহ-সভাপতি পদে ২জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ২জন, কোষাধ্যক্ষ পদে ২ জন এবং সদস্য পদে ২০ জন শিক্ষক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন।

নীল দলের একপক্ষের সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থী অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. লুৎফর রহমানের প্যানেল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষণা দেন, আমাদের প্যানেল নির্বাচিত হলে পিএইচডি শিক্ষা ছুটি ৫ বছর করণ, ইনক্রিমেন্ট সুবিধা নিশ্চিতকরণ, চাকুরীতে পুলিশ ভেরিফিকেশন বাতিলকরণ, শিক্ষকদের জন্য ইউজিসি থেকে নতুন পদ সৃষ্টি করা সহ নির্বাচিত সদস্যরা প্রশাসনিক পদ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা হবে।

অপরদিকে নীল দলের আরেক সভাপতি প্রার্থী অধ্যাপক ড. আশরাফ-উল-আলম ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন প্যানেল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষনা দেন, আমরা নির্বাচিত হলে শিক্ষক নিয়োগ পদোন্নতিতে মানসম্মত বিধি প্রণয়ন করা, সান্ধ্যকালীন কোর্স পুনরায় চালু করা, গবেষণা স্বীকৃতি স্বরূপ অ্যাওয়ার্ড চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করা, শিক্ষকদের জন্য উন্নত ক্যাফেটেরিয়া নির্মাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন সহ শিক্ষক সমিতি থেকে চলমান কাজকে অব্যাহত রাখা হবে।

শিক্ষক সমিতির নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও পদার্থ বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. সুরঞ্জন কুমার দাস তরুণ কন্ঠকে বলেন, সকাল ৯ টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। সকল সদস্যরা ভোট প্রদান করবে অপটিক্যাল মার্ক রিডার(ওএমআর) বৃত্ত ভরাট করে এবং পুনরায় ওএমআরগুলো মেশিনের সাহায্যে কাটা হবে।