শাল্লা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে কর্মকর্তা- কর্মচারির মারামারি
শাল্লা প্রতিনিধি-
প্রকাশিত : ০৬:১৯ পিএম, ৭ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

স্থানীয় ও অফিস সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ৫অক্টোবর দুপুরে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তপনকুমার পাল ও মাঠ কর্মী রুবেল দাসের সাথে ধনবিকাশ ত্রিপুরার মারামারির ঘটনা ঘটে।
ধনবিকাশ ত্রিপুরা জানান তার তিন মাসের বেতন আটকা পড়েছে।একমাস পর ডাঃ তপন কুমার পাল অফিসে আসেন এসময় তিনি বেতন চাইলে তার কাছে উৎকোচ দাবি করেন ডাঃ তপন কুমার পাল। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারনদিকে দিকে তেরে আসনে রুবেল দাস এবং ডাক্তার তপন কুমার পাল। এসময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে অফিস প্রধান ডা: তপন কুমার পাল তার অধীনস্থ মাঠকর্মী রুবেল দাসের কাছে অফিসের চাবি দিয়ে সিলেটে চলে যান। এরপর থেকেই ওই অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে।
বুধবার ৬অক্টোবর বেলা ১১টায় শাল্লা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মূল ফটক তালাবদ্ধ। অফিসে ঢুকতে পারেননি অন্যান কর্মকর্তা - কর্মচারিরা।
সেবা নিতে আসা হাসপাতালের সামনে দাড়ানো লোকজনের
সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা এসেছি আমাদের পোষাপ্রাণির চিকিৎসা পরামর্শের জন্য। কিন্তু কোনো লোক না পেয়ে আমরা বিপদে আছি। তারা আরো বলেন, অফিসের রুবেল দাস, ধনবিকাশ ত্রিপুরা ও ডা: তপন কুমার পালের মধ্যে গতকাল মারামারির ঘটনায় অফিস বন্ধ রয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার অনেক খামারি তাদের খামারে পালিত পশু-পাখিদের ভ্যাকসিন দিতে হলে ওই হাসপাতালের কর্মচারী রুবেল দাসের কাছ থেকেই ঔষধ ও ভ্যাকসিন
কিনতে হয় বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক খামারি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মচারী জানান, মঙ্গলবার ৬অক্টোবর সকাল ১০টায় বিএফ রুবেল দাস ব্যাগভর্তি সরকারি ভ্যাকসিন নিয়ে অফিস থেকে বের হন।
কিছুক্ষণ পরেই খালি হাতে তিনি অফিসে ফিরে আসেন। এবিষয়ে বিএফ রুবেল দাসের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি মার্কুলী গ্রামের খামারি হাদিম মিয়ার হাঁসের খামারে দিতে ভ্যাকসিনগুলো বের করেছি। তাকে ফোন করতে পারেন। পরে মার্কুলী গ্রামের খামারি হাদিম মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে
তিনি বলেন, আমি রুবেল দাসকে ভ্যাকসিনের কথা বলেছিলাম। কিন্তু ভ্যাকসিন এখনো পাইনি। আবার বিএফ রুবেল দাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ভ্যাকসিনগুলো বাহাড়ার এক দাদার কাছে রেখে দিয়েছি, আমি সুনামগঞ্জ চলে যাবো, হাদিম মিয়া এসে নিয়ে যাবেন। কিন্তু হামিদ মিয়া জানান, রুবেল কার কাছে ভ্যাকসিন রেখেছে আমি জানি না, রবিবারে এসে ভ্যাকসিন নিবেন বলেও জানান তিনি।
ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামের বাবলু সরকার বলেন, আমি সকালে এসেছিলাম, কিন্তু কাউকে পাইনি, অফিস তালাবদ্ধ রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ওই হাসপাতলের পশু ডাক্তার বছরে দুই-এক দিন আসেন। বাকি সময় কোথায় থাকেন জানি না। অফিসের গোপন সূত্রে জানা যায়, ডা: তপন কুমার পাল সত্যিই দুই-তিন মাস পরপর আসেন। এব্যাপারে উপজেলা ভ্যাটিরিনারী সার্জন ডা: তপন কুমার পালের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, না-না, অফিস তালাবদ্ধ থাকবে কেন ? আপনি যান, গিয়ে দেখতে পারেন। মারামারির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।