বৃহস্পতিবার   ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫   ভাদ্র ২৬ ১৪৩২   ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

দোহা থেকে ফিরছেন তালেবান নেতারা

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত : ১১:৪৭ এএম, ১৮ আগস্ট ২০২১ বুধবার

পাকিস্তানের পর কাতারকে বলা যায় তালেবানের আরেক অভয়াশ্রম। সেখানে এতদিন রীতিমতো অফিস খুলে কার্যক্রম চালিয়েছিল নির্বাসিত তালেবান নেতারা। আমেরিকা ও ন্যাটো সেনারা চলে যেতেই বাকশো-প্যাঁটরা ফের গোছাতে শুরু করেছেন তারা। কাবুল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর ঘটা করে তালেবানের প্রেস কনফারেন্স হতেই একে একে আফগানিস্তানের দিকে পা বাড়াতে লাগলেন তালেবানের বর্তমান আমির মৌলভী হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা ও তার দলবল। দোহা থেকে এরইমধ্যে অনেক নেতা ফিরলেও এ তালিকায় কারা আছেন তা এখনও জানা যায়নি।

তালেবার সিনিয়র লিডারদের মধ্যে এখন প্রধান বিচারপতি হিসেবে আছেন মুল্লাহ আব্দুল হাকিম, পলিটিক্যাল ডেপুটি মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার, ডেপুটি মোল্লা মুহাম্মদ ইয়াকুব ও সিরাজুদ্দিন হাক্কানি, কাউন্সিল নেতা রাহবারি সুরা প্রমুখ।

এদিকে তালেবান ইস্যুতে এখন আফগানিস্তান ছেড়ে আসতে ইচ্ছুক সাধারণ জনগণের নিরাপত্তার দিকেই বিশ্বের চোখ। ক্ষমতা দখলের পর তালেবানরাও তড়িঘড়ি ‘রাজনীতির’ ব্যাগ গোছানোর চেষ্টা করছে। বারবার বলছে, নারীদের অধিকার ক্ষুণ্ন হবে না, তারা চাইলে আগের মতো কাজ করতে পারবে। তারা এও বলছে, বোরখা নয়, হিজাব পরলেই হবে। তারপরও আফগান বাজারে বোরখার দাম বেড়েছে দশ গুণ।

বিমানবন্দরে সাধারণ আফগান ও বিদেশিদের নিরাপদে প্রবেশ করতে পারবে, তালেবানরা এমন কথা বললেও হামিদ কারজাই এয়াপোর্টে শিশুসহ অনেক মানুষকেই দেখে গেছে মার খেয়ে রক্তাক্ত।

এর মাঝে যুক্তরাষ্ট্র বারবার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তাদের বাদবাকি ১১ হাজার নাগরিককে (কন্ট্রাক্টর, কূটনীতি ও পেশাজীবী) ঠিকঠাক দেশে ফিরতে না দিলে কড়া সামরিক জবাব দেওয়া হবে।

আবার ‘ভবিষ্যত আফগান নেতা’ বারাদারের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ বিন আব্দুলরহমানও বার বার মনে করিয়ে দিয়েছেন, আফগান নাগরিকদের অধিকার যেন ঠিকঠাক থাকে।