সোমবার   ১২ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২   ১৪ জ্বিলকদ ১৪৪৬

টিকার নিবন্ধন করতে পারবে না অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

মাহির আমি মিলন, জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:২২ পিএম, ২ জুলাই ২০২১ শুক্রবার

দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীরা টিকার আওতায় আসছে শীগ্রই। যারফলে আর কোনো বাধা থাকছে না করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য। 

গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিজ্ঞপ্তিতে এমনটা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।ইউজিসি কর্তৃপক্ষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে যেসব শিক্ষার্থীদের তালিকা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর সহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (এমআইএস) দেওয়া হয়েছে,  সেইসব শিক্ষার্থীরা করোনার টিকার জন্য সুরক্ষায় অ্যাপস এ গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে কোন অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই আবেদন করতে পারবেন না। 

ইউজিসি কর্তৃপক্ষ বলেন, নিবন্ধনের পরে তারিখ অনুযায়ী টিকা পাবে দেশের ৩৮ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১লাখ ৩ হাজার ১৫২ জন আবাসিক শিক্ষার্থী। ইউজিসি আরো বলেন, টিকার দেওয়া হলে খোলা হবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। টিকার জন্য মূলত এতোদিন পর্যন্ত খোলা যায়নি বিশ্ববিদ্যালয় সমূহ। 

ইউজিসির নোটিশে যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে তাঁরাই আবেদন করতে পারবে এবং সবাই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তবে, সেখানে কেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রয়েছে তাহলে এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা কেন টিকার জন্য আবেদন করতে পারবে না এই নিয়ে জানতে চাইলে কিছু বলেন নি ইউজিসি। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একমাত্র অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের। ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী এখন টিকার জন্য আবেদন করতে পাচ্ছে শুধু আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শুরু থেকে বলেছে সকলের সাথে টিকা পাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অথচ আজকে ইউজিসি বলছে ভিন্ন কথা। 

এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক বলেন,  আমাদের আবাসিক হল নেই এই জন্য আমরা টিকা পাবো না বিষয়টি হতে পারে না। আমরা সকল শিক্ষার্থীদের তালিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে, ইউজিসি কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা জানি না শীগ্রই তাঁদের সাথে যোগাযোগ করা হবে। 

তিনি আরও বলেন, আবাসিক শিক্ষার্থীরা শুধু টিকা পাবে আর অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা পাবে না বিষয়টি মানা যায় না। সকলের টিকার প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু আমরাও সশরীরে পরীক্ষা নিবো আমাদেরও টিকা লাগবে। আমরা লকডাউন শেষ হলে এই নিয়ে প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলবো। 

এই বিষয়ে, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো যোগাযোগ করা যায়নি।