সিলেটে জেলা বাস-মিনিবাস-মাইক্রোবাস শ্রমিকদের বিক্ষোভ
সিলেট প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:৩৪ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার
গাড়ি চালানোর দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস এবং মাইক্রোবাস শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় সিলেটের কদমতলী এলাকায় গণপরিবহণ চালুর দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এর আগে গত ২০ এপ্রিল রাতে সিলেট-ঢাকা রুটে চলছে গাড়ি, চাঁদা নিচ্ছে পুলিশ-শ্রমিক শিরোনামে সিলেট ভয়েসে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদের এক দিন পরই শ্রমিকদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা তোলে ধরে শ্রমিক নেতারা এ বিক্ষোভ করেন।
তবে শ্রমিক নেতাদের দাবি, দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুই দফা দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। তাদের দুই দফা দাবিগুলো হলো- অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহণ চলাচলে নির্দেশ প্রদান করতে হবে এবং ১০ টাকা কেজি দরে (ভিজিএফ) চাল শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে।
এদিকে সকালে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় শুরু হওয়া এ বিক্ষোভে সিলেট জেলা বাস- মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন শ্রমিক নেতারাসহ কিছু শ্রমিকও উপস্থিত ছিলেন। মিছিলটি হুমায়ূন রশিদ চত্বর ও কিনব্রিজ এলাকা ঘুরে ফের টার্মিনালে গিয়ে শেষ হয়। পরে টার্মিনালে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পরিবহন শ্রমিক নেতা ময়নুল ইসলাম, আবু সরকার, মোহাম্মদ জাকারিয়া।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিমান চলাচল শুরু হয়েছে। প্রাইভেট গাড়ি চলছে। লকডাউনের অজুহাতে শুধুমাত্র গণপরিবহন বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এতে দেশের লাখ লাখ শ্রমিক রমজান মাসে না খেয়ে আছে।
এই অমানবিক অবস্থা থেকে শ্রমিকদের মুক্তি দিতে অবিলম্বে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর নির্দেশ দিতে হবে।
এসময় বক্তারা আরও বলেন, গণপরিবহন শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করলেও তাদেরকে ভিজিএফ’র আওতায় নেয়া হচ্ছে না। তাই শ্রমিকদের ভিজিএফ’র আওতায় নিয়ে ১০ টাকা কেজি দরে তাদেরকে চাল দিতে হবে।
অপরদিকে চলমান লকডাউনে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে সকল-রকম সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও কোনরকম স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ করেন।মানা হয়নি নূন্যতম শারীরিক দূরত্ব। এসময় অধিকাংশ শ্রমিকের মুখেই মাস্ক পরা থাকতে দেখা যায়নি। এমন অবস্থায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
এদিকে সম্প্রতি লকডাউনে বাস টার্মিনাল থেকে বাস সিলেট-ঢাকা বাস গাড়ির বিকল্প হিসেবে মাইক্রোবাস চালিয়ে শ্রমিক নেতাদের লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের বিষয়টি আলোচনায় আসলে সাধারণ শ্রমিকদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ।
সিলেট জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং নগরীর ভিতরের অধিকাংশ শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করলেও অর্জিত টাকার সুসম বণ্টন না করে মুষ্টিমেয় কয়েকজন শ্রমিক কিংবা নেতাদের ভাগবাটোয়ারার বিষয় নিয়েও চলছে চাপা ক্ষোভ। এমন অবস্থায় হঠাৎ নেতাদের শ্রমিক প্রীতির বিষয়টি নিয়েও আছে আলোচনা।
