শনিবার   ২০ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৬ ১৪৩২   ২৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

শাল্লা উপ-সহকারি প্রকৌশলীর হাতে মহিলা শ্রমিক লাঞ্ছিত

শাল্লা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৩:২৮ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২১ বৃহস্পতিবার

সুনামগঞ্জের শাল্লায় এলজিইডি’র আরইআরএমপি-৩ প্রকল্পের এক মহিলা শ্রমিককে লাথি মেরে চাকুরী থেকে বের করার হুমকি দিয়ে অফিস থেকে ধাক্কা মেরে বের করেন ওই অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নূরুজ্জামান। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ এপ্রিল বুধবার স্থানীয় এলজিইডি কার্যালয়ে। অন্যদিকে আজ ২২ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ২৯ মিনিটে ই-নথির মাধ্যমে ভূক্তভোগী মহিলা সুবিচার প্রার্থনা করে এক লিখিত অভিযোগ করেছেন শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর।

জানা যায়, উপজেলার ৩নং বাহাড়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের হত-দরিদ্র মৃত সুকেন দাসের স্ত্রী সুমিত্রা রাণী দাস শাল্লা এলজিইডি’র আরইআরএমপি-৩ প্রকল্পের একজন শ্রমিক। আর ওই মহিলা অভাব-অনটনের কারণে উত্তোলিত তার বেতনের টাকা পাওয়ার জন্য স্থানীয় সাংবাদিকের মাধ্যমে সুপারিশ করানোর দায়ে এলজিইডি’র কর্মরত উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নূরুজ্জামান অফিসে ডেকে নিয়ে তাকে লাথি মেরে চাকুরী চ্যুত করার হুমকিসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।


ভূক্তভোগী সুমিত্রা রাণী দাসের দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায়ই তিনি তার বেতনের টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হন। গত কিস্তির বেতনের টাকা উঠাতে গিয়ে তিনি অনেকবার অফিসে যাতায়াত করে ব্যর্থ হয়ে টাকার বিশেষ প্রয়োজনে স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে অফিসের কর্মচারী সূধারঞ্জন দাসকে সুপারিশ করানোর কারণে উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নূরুজ্জামান সুমিত্রার প্রতি ক্ষিপ্ত হন এবং তাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে লাথি মেরে চাকুরী থেকে বের করার হুমকিসহ ধাক্কা-ধাক্কি করে অফিস থেকে বের করে দেন।

এবিষয়ে শাল্লায় কর্মরত উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ নুরুজ্জামানের সাথে কথা বলতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সুমিত্রাকে কাজের জন্য চাপ দিয়েছি। তবে তাকে কোনো ধরণের হুমকি প্রদান করিনি।


এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আল মুক্তাদির হোসেনের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগটি আমি এখনো দেখিনি। এখনই দেখবো, দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।