শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২৮ ১৪৩২   ১৬ মুহররম ১৪৪৭

বিটকয়েন বিক্রিকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে কয়েকটি চক্র

কবির হোসেন (শান্ত)

প্রকাশিত : ০৭:২১ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার

অবৈধ বিটকয়েন বিক্রিকে কেন্দ্র করে দেশে গড়ে উঠেছে বেশ কটি চক্র। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিটকয়েন কিনে তা বাংলাদেশের বাজারে বিক্রি করছে চক্রটি। সম্প্রতি এমন একজনকে গ্রেপ্তারের পর, জানা গেছে অবৈধ বিটকয়েন কেনার তালিকায় আছেন ব্যবসায়ীসহ রাজনীতিবিদের নাম।  টাকা পাচারের উদ্দেশ্যেই কেনা হচ্ছে বিট কয়েন। 

ক্রিপ্টোকারেন্সি বা ভার্চুয়াল মুদ্রা। পৃথিবীর 80 টিরও অধিক দেশে ব্যবহার করা যায় এই মুদ্রা। ক্রিপ্টোকারেন্সির একটি জনপ্রিয় মুদ্রার নাম হলো বিটকয়েন। যা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় একটি ভার্চুয়াল কারেন্সি। 

একেকটি বিটকয়েনের বর্তমান মূল্য প্রায় ৫০ হাজার ডলার। তবে এটি বাংলাদেশে অবৈধ। তারপরও নিষিদ্ধ গোপনে অনলাইনে চলছে বিটকয়েন ব্রিক্রি।

নোয়াখালীর মাহমুদুর রহমান জুয়েল একসময় ছিলেন মালয়েশিয়ায়। বিটকয়েন সম্পর্কে তার জানাশোনা সেখান থেকেই। বাংলাদেশে এসে তিনি গড়ে তোলেন একটি চক্র। শুরু করেন অবৈধ বিটকয়েনের ব্যবসা। সম্প্রতি রাজধানী থেকে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

মালয়েশিয়া,যুক্তরাজ্য ও দুবাই থেকে বিটকয়েন কিনে তা বাংলাদেশের গোপন বাজারে বিক্রি করতো জুয়েল। তার চক্রে আছে আরো অন্তত চারজন। ২০১৭ থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ বিটকয়েনের ব্যবসা করে আসছিল চক্রটি। তাদের কাছ থেকে বিটকয়েন ক্রয়কারীদের একটি তালিকা পেয়েছেন গোয়েন্দারা। যাতে আছে ব্যবসায়ীসহ  কয়েকজন রাজনীতিবিদের নামও। 

ব্লকচেইন, বিন্যান্স লাইট, কয়েনবেসসহ বেশকিছু অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে বিটকয়েনের গোপন লেনদেন হয়ে থাকে। 

পুলিশ বলছে বিট কয়েনের মাধ্যমে বিদেশে অবৈধ পথে টাকা পাচারের শঙ্কা থাকে।