ফেসবুক ব্লু -বেজ এর নামে প্রতরণা
শান্ত কবির
প্রকাশিত : ০৫:০০ পিএম, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ শনিবার
ফেসবুক ভেরিফাইয়ের নামে প্রতারক চক্র সম্প্রতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এই চক্রের সদস্যরা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নানান লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত হচ্ছে অনেক তরুণ। এমনই এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম গ্রেপ্তার করেছে প্রতারক এক যুবককে। নাম মো. সৈকত মিয়া। থাকতেন নরসিংদীতে। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার সৈকত মূল পেশার বাইরে এসে দীর্ঘদিন ধরে এরকম প্রতারণা করে আসছে।
তেইশ বছর বয়সী হৃদয় আহম্মেদ একজন শিক্ষার্থী। থাকেন মিরপুর-১ নম্বরের দক্ষিণ পাইকপাড়ায়। হৃদয় একদিন তার ফেইসবুকে একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পান। ১০ হাজার টাকায় ফেসবুক আইডি বা পেইজ ব্লু ভেরিফাইড করে দেয়া হয়।
চার্লস আন্ড্রেস ব্রিম নামের যে, আইডি থেকে বিজ্ঞাপনটি দেয়া হয়েছিল সেটিও ছিল একটি ফেরিফাইড পেইজ। হৃদয় তার ৬৭ হাজার ফলোয়ারের আইডি ভেরিফাইড করার জন্য ওই আইডির মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠান। কানাডিয়ান নাগরিক পরিচয় দেয়া ওই ব্যক্তি রিদয়ের কাছে,দাবি করেন ১০ হাজার টাকা। দেরি না করে হৃদয় ওই ব্যক্তিকে মোবাইল ব্যাংকিং-এ পাঠিয়ে দেন ১০ হাজার টাকা।
পরে ওই ব্যক্তি ভেরিফাইডের সাপোর্টিং হিসাবে হৃদয়ের কাছ থেকে তার ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড নেয়।এরপর আইডিটির পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে তার কাছে। নাম ঠিকানাসহ সকল তথ্য পরিবর্তন করে আইডির মালিক বনে যায় প্রতারক ওই ব্যক্তি। আইডি ফেরত চাইলে, দাবি করা হয় এক লাখ টাকা। নিরুপায় হয়ে হৃদয় আশ্রয় নেয় গোয়েন্দা পুলিশের।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান,২০১২ সাল থেকে এই প্রতারণায় জড়িয়ে পড়ে সৈকত। চারশো’ ডলার দিয়ে মিশরীয় চক্রের কাছ থেকে কানাডিয়ান এক নাগরিকের নামে খোলা একটি ভেরিফাইড আইডি কিনে ব্যবহার করছিল সৈকত। ওই আইডি দিয়েই তার প্রতারণা চালিয়ে আসছিল সে।
মিশর, লিবিয়া, তিউনেশিয়া মরক্কোসহ বেশকিছু দেশে গড়ে উঠেছে এমন চক্র। সৈকত মূলত এসব চক্রের কাছ থেকে আইডি কিনেই প্রতারক হয়ে ওঠে।
