শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২   ১৮ জ্বিলকদ ১৪৪৬

অমর বিজয় - এস. এম. সোহাগ

প্রকাশিত : ০৪:৩৫ পিএম, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ রোববার

অমর বিজয়
*এস. এম. সোহাগ*
বাঙ্গালীর ইতিহাসে, বক্র দৃষ্টি দিতে,
চেয়েছিল শোষক পাকিস্তান।
করছে অত্যাচার, অন্যায় আর অবিচার,
ওরা ছিল মানুষরূপি শয়তান।

হয়ে ছিল এক দেশ, তবু ছিল ভেদাভেদ,
পশ্চিম আর পূর্ব পাকিস্তান।
সেবাহীন জনগন, দেশের উন্নয়ন,
সব খানেতেই হতো হয়রান।

এদেশে খাটতো লোক, ওরা তা করতো ভোগ,
দিতনাতো এতটুকু সম্মান।
করেছে প্রতারণা, দিয়েছে যন্ত্রণা,
বলতো মুখে আমরা মুসলমান।

বাচাঁতে জাতীর মান, মুজিবুর রহমান,
অবশেষে মুক্তির ডাকদেন।
আমরা হবো স্বাধীন, থাকবোনা পরাধীন,
রাখতেই হবেযে দেশের মান।

পচিঁশের কালো রাত, ভুলে সব জাত-পাত,
ঘুমে রত বাঙ্গালীর সন্তান।
শুরুযে মরন খেল, হায়নারা মারে সেল,
সব কিছু পুড়ে ভেঙ্গে খানখান।

শুরু হলো যুদ্ধ, বাঙ্গালিরা ক্ষুব্ধ,
হটাতেই হবেযে পাকিস্থান।
দেশের মাটিতে আর, শত্রু বা হানাদার,
পাবেনাতো কোন দিনো স্থান।

ছেড়ে দিয়ে ঘর বাড়ি, রণো পথে দিল পাড়ি,
এদেশের সাধারণ জনগন।
করেনি জানের ভয়, কতো প্রাণ হলো ক্ষয়,
যুদ্ধ জয়ের মনে ছিল পন।

কতযে হলো নিলাম, মা-বোনের সম্মান,
যুদ্ধে রেখেছে তারা অবদান।
হয়েছে বিরঙ্গনা, সয়েছে যন্ত্রণা,
পশুরা করছে মা’কে অপমান।

দুধ খাওয়া ছোট শিশু, বোঝেনাযে কোন কিছু,
তাকেও দেয়নি পরিত্রাণ।
ভুলে মায়া মমতা, করেছে নির্মমতা,
যেন কোন ধ্বংস অভিজান।

এদেশেও ছিল কিছু, মানুষরূপি জংলি পশু,
আল-বদর, আল-সামস, রাজাকার।
বাচাঁবার কথা বলে, তাদের হাতে দেয় তুলে,
যারা ছিল পাক দেশি হানাদার।

ধর্মের বাণী বলে আথবা অন্য ছলে,
মেরেছে বাংলা মায়ের সন্তান।
পুড়িয়েছে ঘর-বাড়ি, ধর্ষিত করে নারী,
লুট করে ভরিয়েছে আস্তান।

এভাবেই নয় মাস, এক করে দিন রাত,
তবেই পেয়েছি সোনার দেশ।
ত্রিশ লাখ শহীদান, হয়েছিল কুরবান,
স্বাধীন বাংলা এলো অবশেষ।

স্বাধীন বাংলাদেশে, এখনও লুকিয়ে আছে,
রাজাকার আর রাজাকারের বাচ্চা।
করতে ধ্বংস দেশ, করে দিতে নিঃশেষ,
করে রোজই কতনা ব্যবস্থা।

করে বোমা হামলা, জ্ঞানি গুনি আমলা,
জিম্মি করে বিদেশী মেহমান।
ছড়িয়েছে পাকি নীতি, ধুষণ করে রাজনীতি,
জাতীকে করেছে ওরা অপমান।

ওদের বিচার চাই, এদেশেতে ঠাই নাই,
গড়বো রাজাকার বিহীন দেশটা।
দেশের শত্রু ওরা, রাজাকারের পক্ষে যারা,
উপড়ে ফেলতে হবে শেষটা।

কবি পরিচিতি
কবি এস.এম. সোহাগ ১লা মার্চ ১৯৯০ সালে ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার মুন্সিরাবাদ গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তার বাবা আ. জলিল সিকদার ও মা মাকছুদা বেগম। ছোট বেলা থেকেই লেখা- লেখি করার ইচ্ছা, বিশেষ সুযোগ না থাকায় অবসর সময়ে ছোট গল্প, উপন্নাস, গান ও কবিতা লেখায় আগ্রহী তিনি। তার লেখা দুটি উপন্নাস, একটি ছোট গল্প, দের শতাধিক কবিতা ও কিছু গান এখনও অপ্রকাশিত রয়েছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তার লেখা-লেখি সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হয়।