পরীক্ষা ও ফল প্রকাশে ঝুলে আছে ভাগ্য
প্রকাশিত : ০৪:২৮ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর ভাগ্য ঝুলে আছে পরীক্ষা ও রেজাল্ট প্রকাশ না হওয়ায়। চলতি বছরের শুরুর দিকে বিভিন্ন বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও ফল প্রকাশ করেনি বেশ কয়েকটি বিভাগ।
ফল প্রকাশ না হওয়া ও পরীক্ষা আটকে থাকায় আসন্ন পিএসসি, ব্যাংক জব, জুডিশিয়ারিসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতা হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্নাতকের শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষ হলেও ফল প্রকাশ না হওয়ায় ঝুলে আছে এসব শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ।
এদিকে রোববার ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি, পরিসংখ্যান ও আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ আটকে থাকা পরীক্ষা ও পুনঃনিরীক্ষণ পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।
ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে আজাদ লাভলু যুগান্তরকে বলেন, তিনটি বিভাগ আটকে থাকা পরীক্ষা ও রিটেক পরীক্ষা নেয়ার আবেদন করেছে। ভিসি স্যারের সঙ্গে কথা হয়েছে তিনি নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
করোনার মধ্যেও বিভিন্ন বিভাগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করছেন। করোনার মধ্যেও আামাদের কার্যক্রম চালু রেখেছি। স্নাতক, স্নাতকোত্তরসহ অন্তত ২০টির বেশি বিভাগে ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
তবে যে বিভাগগুলো ফল প্রকাশ করতে পারছে না সে বিভাগের শিক্ষকদের সদিচ্ছা না থাকাকেই দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষকরা চাইলেই দ্রুত ফল প্রকাশ সম্ভব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আবদুল লতিফ যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্ষতি হচ্ছে। যে বিভাগগুলোর রেজাল্ট আটকে আছে তাদের প্রকাশ করতে কোনো বাধা নেই।
এ বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ২৫ বিভাগের মধ্যে ১৫টি বিভাগের ফল প্রকাশিত হলেও ফল না প্রকাশ করতে পারা, পরীক্ষা শুরু করলেও শেষ না হওয়া এবং পরীক্ষা শুরু না করতে পারার কারণে বিপাকে আটকে গেছে বাকি দশ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
তথ্য মতে, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গত বছরের ডিসেম্বরে সম্পন্ন হলেও এখনও রেজাল্ট প্রকাশিত হয়নি। একই সঙ্গে মার্কেটিং বিভাগের ফল আটকে আছে।
এদিকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ইন্টার্নশিপ সম্পন্ন হলেও আটকে আছে ফল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী যুগান্তরকে জানান, চলতি বছরের মার্চে পরীক্ষা-ভাইভা শেষ হয়েছে। ইন্টার্নশিপও সম্পন্ন করেছি অনেক আগেই। ফল না প্রকাশ হওয়ায় চাকরিতে আবেদন করতে পারছি না।
এছাড়া আরও চারটি বিভাগ পরীক্ষা শুরু করতে পারলেও শেষ করতে পারেনি। ফলে মাঝপথে আটকে আছে তারা। এর মধ্যে ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি ৬টি, গণিত ২টি, আল-ফিকহ্ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ ৪টি এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬টি কোর্সের পরীক্ষা সম্পন্ন হলেও বাকি পরীক্ষাগুলো করোনায় আটকে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. আবদুস সালাম যুগান্তরকে বলেন, গভর্নমেন্ট বা ইউজিসির অনুমতি ছাড়া আমরা পরীক্ষা নিতে পারব না। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে ডেফিনেটলি একটা সিদ্ধান্ত নেব।
