হাজীগঞ্জে সাত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার বীর নিবাস`এর জন্য আপিল
তরুণ কন্ঠ রিপোর্ট
প্রকাশিত : ১২:২৮ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২০ শুক্রবার

সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত বীর নিবাস এর আওতায় সকল অসচ্ছল গৃহহীন যাদের বার্ষিক আয় (মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ব্যতীত) ৬০ হাজার টাকার নিচে এবং নিজস্ব কোন বাড়িঘর নেই বা কুড়ে ঘরে থাকেন এমন মুক্তিযোদ্ধাদের একতলা বিশিষ্ট একটি বাড়িনির্মাণ করে দেওয়ার বরাদ্দ আসে। এরই অংশ হিসেবে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী কর্মকর্তা ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে বরাদ্দ কমিটির মাধ্যমে ২১৯ জন মুক্তিযোদ্ধার আবেদনের মধ্যে ৩৭ জনের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। কিন্তু এই তালিকায় অনেক সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের নাম উঠে আসে। অনুসন্ধান করে জানা যায় বরাদ্দ কমিটির সাথে সখ্যতা করে অনেকেই এই তালিকায় নাম বসিয়েছেন। উক্ত তালিকার মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারের বাৎসরিক আয় লক্ষ টাকা। কারো রয়েছে বহুতল বাড়ি। কারো সন্তানেরা চাকরি করছেন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে। এমনকি বিভিন্ন শহরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন অনেকেই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এমন ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে তালিকায়।
তালিকাটি প্রকাশ হওয়ার পর অসচ্ছল গৃহহীন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম না আসায় অনেকেই অভিযোগ করতে থাকেন। একাধিক মুক্তিযুদ্ধের সাথে কথা বলে জানা যায়, সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে স্বজনপ্রীতি করা হচ্ছে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের একজন প্রতিনিধি আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে সচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় স্থান করে দিয়েছেন। ঘর পেতে প্রকৃত অসচ্ছলদের মধ্যে অনেকেই বাদ পড়েছেন।
পরবর্তীতে হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখি বড়ুয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বরাদ্দ কমিটি থেকে ৩৭ জনের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। যদি কারো কোন অভিযোগ থাকে তাহলে আপিল করার সুযোগ আছে। অন্যদিকে যাচাই বাছাই কমিটির সদস্য আব্দুর রব খোকন বলেছেন আবেদনকারীদের মধ্যে ৩৭ জনকে বীর নিবাস দেওয়ার জন্য সুপারিশ কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে জেলা প্রশাসকের কাছে আপিল করার সুযোগ আছে বলেও জানান তিনি।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার সাত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবার জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করেন।