শুক্রবার   ১৪ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ৩০ ১৪৩২   ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭

‘এত ভালো কথা শোনার অভ্যাস নেই’ নাজমুল হোসেন

মোঃ মাহাবুবুর রহমান রাব্বি

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২৫  

‘আপনার ওপরে তো শুধু ব্র্যাডম্যান আর জর্জ হ্যাডলি’—সংবাদ সম্মেলন থেকে বের হওয়ার পরই নাজমুল হোসেনকে উদ্দেশ করে বললেন এক সাংবাদিক। তাতে যেন একটু লজ্জাই পেলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। বিনয়মিশ্রিত কণ্ঠে ‘ক্যারিয়ার সবে তো শুরু...’ বলে বোঝালেন সেটাও।

 

কিন্তু রেকর্ডের পাতায় ব্যাপারটা সত্যিই। টেস্টে পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়ার পর সেঞ্চুরি করার শতাংশে শুধু এ দুই কিংবদন্তিই নাজমুলের ওপরে। ৩৮ টেস্টে ১৩ বার পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়া ইনিংসে ৮ বারই সেঞ্চুরি পেয়েছেন বাংলাদেশের নাজমুল, ৬১.৫৪ শতাংশ ফিফটিকে পরিণত করেছেন এক শতে।


ওয়েস্ট ইন্ডিজের হ্যাডলি ৪০ ইনিংসে সব মিলিয়ে ১৫ বার পঞ্চাশ পেরিয়ে সেঞ্চুরি করেছেন ১০টিতে, শতাংশের হিসাবে তা ৬৬.৬৭। অন্তত ২ হাজার রান করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে নাজমুল ও ‘ব্ল্যাক ব্র্যাডম্যানে’র ওপরে আছেন কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান, পঞ্চাশ পেরোনোর পর ৬৯.০৫ শতাংশ ইনিংসেই তিনি পেরিয়েছেন এক শ। টেস্টে তাঁর সেঞ্চুরি ২৯টি।


তবে পঞ্চাশ থেকে এক শতে যাওয়া নিয়ে নাকি খুব একটা চিন্তা করেন না নাজমুল। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে প্রথম টেস্টের পর তাঁর দাবি অন্তত তেমনই, ‘চিন্তা করে করি না, চেষ্টা করি যখন থিতু হই, চেষ্টা থাকে যে কীভাবে আমি বড় রান করতে পারি দলের জন্য।’


এরপর ‘ভালো ভালো’ কথায় নিজের অস্বস্তিটাও জানিয়ে দেন নাজমুল, ‘মাত্র ৩৮ ম্যাচ খেলছি। এখনই এত লম্বা চিন্তা করছি না। এত ভালো ভালো কথা শোনার আসলে অভ্যাস আমার নেই। মুশফিক ভাই ৯৯টা টেস্ট খেলে ফেলেছে, তেমন বা ১০০–১৫০ ম্যাচ খেলার পরে যদি এ রকম ধারাবাহিক থাকতে পারি, তাহলে আমি বলতে পারব, মনে হয় ভালোভাবে আমার ক্যারিয়ারটা শেষ করতে পেরেছি।’

 

অধিনায়ক হিসেবেও নাজমুলের সময়টা কাটছে অবিশ্বাস্য ভালো। ৮ সেঞ্চুরির ৪টিই তিনি পেয়েছেন নেতৃত্বে থাকতে। অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশের মধ্যে তাঁর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু মুশফিকুর রহিমের, তিনি আবার নাজমুলের দ্বিগুণের বেশি ইনিংসে ব্যাট করেছেন।

 


এ বিষয়েও নাজমুলের ভাবনা সরল, ‘আমি ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পছন্দ করি। আমার ভেতরে একবারের জন্যও মনে হয় না আমি অধিনায়ক হিসেবে খেলছি। চিন্তা করি যে কীভাবে ব্যাটসম্যান হিসেবে অবদান রাখতে পারি। ওইটাই মূল নজর থাকে। আর যখন অব দ্য ফিল্ড বা ফিল্ডিংয়ে থাকি, তখন অধিনায়ক হিসেবে আমার যে দায়িত্বগুলো পালন করার, তা করি।’ 

এই বিভাগের আরো খবর