শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩২৬

হেফাজতের নেতৃত্বে আসছেন কে?

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২০  

কৌতূহল। নানা আলোচনা। কে হচ্ছেন হেফাজতের নতুন নেতা? তবে নেতৃত্ব নির্বাচন ঘিরে হেফাজতে বিভক্তি দেখা দেয় কি-না সে আলোচনাও জোরদার হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীই সম্ভবত সংগঠনটির আমীর হচ্ছেন। এ সম্মেলন থেকে দৃশ্যত বাদ পড়ছেন প্রয়াত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর পুত্র আনাস মাদানী এবং তার অনুসারীরা। তারা এ সম্মেলনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তবে হেফাজত নেতাদের একাংশ এই দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তারা বলছেন, সারা দেশ থেকে নেতারা এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।

তাদের মতামতের ভিত্তিতেই নতুন নেতা নির্বাচিত হবেন।
হেফাজত হেডকোয়ার্টার হিসেবে পরিচিত হাটহাজারীতে এ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মহিবুল্লাহ বাবুনগরী। আর সম্মেলন পরিচালনা করবেন আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। এ সম্মেলনের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন হেফাজত নেতা মাঈনউদ্দিন রুহী। তিনি আনাস মাদানীর ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত। বিবিসি বাংলাকে তিনি বলেন, কোন কমিটিতে আলোচনা ছাড়া ব্যক্তির রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের কারণে অবৈধভাবে এই সম্মেলন করা হচ্ছে। যেদিন হেফাজত গঠন হয়েছে, সেদিন থেকেই আমি এর যুগ্ম মহাসচিব। হেফাজতের কাউন্সিল করার জন্য এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কমিটিতে কোন আালোচনা বা কোন মিটিং কখনও করা হয়নি। এটা একজন ব্যক্তির আমীর হওয়ার জন্য এবং রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ হাসিল করার জন্য এই কাউন্সিল করা হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ।
তবে তার এই বক্তব্য নাকচ করে দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী। তিনি জানান বৈধভাবে সম্মেলন আহ্বান করেই নতুন নেতা নির্বাচন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, যারা অভিযোগ করে, তারা আসলে হেফাজতের এই উত্থান সম্পর্কে জনগণকে বা আমাদের কর্মীদের বিভ্রান্ত করে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য চেষ্টা করছে। যাদের ব্যাপারে হেফাজতের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ, তাদেরকে তো হেফাজতের কমিটিতে রাখার সুযোগ নাই।
সাত বছর আগে রাজনীতির দৃশ্যপটে আসা অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম নানা সময়ে আলোচনায় এসেছে। দীর্ঘ দিন থেকে আল্লামা আহমদ শফী ছিলেন সংগঠনটির একক নেতা। কিন্তু ছেলে আনাস মাদানীর নানা কর্মকা- ঘিরে হেফাজত আমীরের সঙ্গে মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীর একধরনের দূরত্ব তৈরি হয়। সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিও ছিল আলোচনায়। গত সেপ্টেম্বরে হাটহাজারী নজিরবিহীনভাবে সরব হয় আল্লামা আহমদ শফী ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে। একপর্যায়ে আন্দোলনের মুখে মাদরাসা থেকে বাদ পড়েন তারা। এরপরপরই আল্লামা আহমদ শফী মৃত্যুবরণ করেন।
সে থেকে হেফাজতের আমীর কে হচ্ছেন তা নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। তবে এখন হেফাজত ঐক্যবদ্ধ থাকে কি-না সে আলোচনাও জোরদার হচ্ছে। কওমি ভিত্তিক এই সংগঠনটি নিয়ে দেশে-বিদেশে নানা মহলের মধ্যে আগ্রহ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত নেতৃত্ব নির্বাচন ঘিরে অথবা সংগঠনটি ঘিরে নাটকীয় কিছু ঘটে কি-না তাই হবে দেখার বিষয়।