বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫৩

সেই চিকিৎসকের জরিমানা মওকুফ করল পুলিশ

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫ এপ্রিল ২০২১  

মহামারি করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলছে সাত দিনের কঠোর লকডাউন। গতকাল বুধবার থেকে এ লকডাউন কার্যকর হয়। এই সময়ে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে চিকিৎসকদের বাইরে বের হতে বাধা নেই এবং মুভমেন্ট (চলাচল) পাস লাগবে না। কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনেই হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে বেশ কয়েকজন চিকিৎসক অভিযোগ করেছেন। এরইমধ্যে এক চিকিৎসককে গুণতে হয়েছে জরিমানাও। তবে সেই চিকিৎসককে জরিমানার করার টাকা মওকুফ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জরিমানা দেওয়া ওই চিকিৎসককের নাম নাজমুল ইসলাম। তিনি রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক। নাজমুল ইসলামের স্ত্রী চিকিৎসক ইসরাত জাহান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার স্বামীকে যে তিন হাজার টাকার জরিমানা গুণতে হয়েছে সেই স্লিপও যুক্ত করেছেন। তবে চিকিৎসক নাজমুল ইসলামের জরিমানা মওকুফ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে চিকিৎসক নাজমুল ইসলাম ও পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে নাজমুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যার আগে একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে ফোন করেছিলেন। তিনিই জরিমানা হিসেবে আদায় করা টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানান। আজ বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের কাজ শেষে ফেরার পথে তিনি টাকা ফেরত নেবেন।

এরকম ভুক্তভোগী অনেকেই এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদের নির্দেশনা তৃণমূল পুলিশ সদস্যরা মানছেন না।

চিকিৎসকদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপনসিবিলিটিজ (এফডিআরএস) জানিয়েছে, বিধিনিষেধের প্রথম দিনে কর্মস্থলে যাওয়া-আসার পথে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসকরা। অনেককেই গুণতে হয়েছে জরিমানা। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে দেওয়া কিংবা দুই ঘণ্টা পর্যন্ত পথে আটকে রাখার মতো ঘটনাও ঘটেছে।

এসব ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউসিজি) অধ্যাপক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘চিকিৎসকরা যেহেতু জরুরি পরিসেবায় নিয়োজিতদের মধ্যে পড়েন, সেহেতু পরিচয় দেওয়ার পরও তার নামে মামলা দেওয়া উচিত হয়নি। যা হয়েছে ঠিক হয়নি, মহা-অন্যায় হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালে জরুরি বিভাগ তো খোলা, সে হিসেবে চিকিৎসকরা তো অবাধে কর্মস্থলে যেতে পারার কথা। তা না হলে তারা এতো রোগীর চিকিৎসা কীভাবে দেবেন? তারা যে কষ্ট করে যাচ্ছেন, এটাই তো বেশি। আর যেন এমন না হয়, তা নিশ্চিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’

কৃষ্ণা হালদার নামে এক চিকিৎসক লিখেছেন, ‍‘গত রাতে কুয়েত মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে আমার নাইট শিফটে ডিউটি ছিল। সকালে আমার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার পিক-আপ করার সময় কারওয়ান বাজার সিগন্যালে ড্রাইভার আমার আইডি কার্ড দেখানোর পরও পুলিশ মামলা করেছে।’

এর আগে গত মঙ্গলবার পুলিশের আইজিপি বেনজীর আহমেদ জানিয়েছিলেন, লকডাউন চলাকালে চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের কোনো মুভমেন্ট পাস নিতে হবে না।

এই বিভাগের আরো খবর