শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৮৯

সাগর-রুনি হত্যার এখনো ক্লু পাওয়া যায়নি,হাইকোর্টকে তদন্ত কর্মকর্তা

তরুণ কণ্ঠ ডেস্কঃ

প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০১৯  

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় এখনো কোনো ক্লু খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার চারটি প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি এলেও আসামিদের সঙ্গে এসব নমুনা মেলেনি। আরো দুটি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। এসব প্রতিবেদন কবে নাগাদ আসবে তা বলা যাচ্ছে না।

আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এই মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত ডিএজি খন্দকার শফিকুল আলম আজ সোমবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন দেওয়া হয়।  

পরে আদালত আগামী ১৪ নভেম্বর এ মামলা থেকে সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের নাম বাতিলের আবেদনের ওপর আদেশের দিন নির্ধারণ করে দেন।

এর আগে ২০ অক্টোবর সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। মামলার সিডিসহ তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত ডিএজি খন্দকার শফিকুল আলমকে হাজির হতে বলা হয়।

আদালতে তানভীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় হাজির হয়েছেন। এ মামলার এখন পর্যন্ত সাতজন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু মামলার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

শুনানিকালে তদন্ত কর্মকর্তা খন্দকার শফিকুল আলম আদালতে বলেন, এ মামলার কোনো ক্লু খুঁজে পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনের জন্য নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। এর মধ্যে দুটি নমুনা এসেছে। এসব নমুনার সঙ্গে আসামিদের কারো কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। অপর দুটি পরীক্ষার নমুনা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইতে রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। এ সময় অদালত বলেন, আপনারা আলামত হিসেবে কী পেয়েছেন?

জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আমরা কয়েকটি ছোরা, দা ও বটি পেয়েছি। তবে রিপোর্ট না আসায় কারো সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি।

আইনজীবী জানান, তখন আদালত হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘ আট বছর মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ হবে কবে? তদন্ত কি অনন্তকাল ধরে চলবে?

পরে ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, বিজ্ঞ আদালত, আপনারা দ্রুত প্রতিবেদন শেষ করতে এক মাস সময় দিয়ে আদেশ দিতে পারেন।

এ সময় আদালত বলেন, ‘সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে কিছুই হয়নি। এখন সেটির আদেশ দেব?’ পরে আদালত এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তানভীর রহমানের মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন, যোগ করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।

এর আগে সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তানভীর রহমান মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী।

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৬ মাস পর জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান তানভীর রহমান। তানভীরের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে। তিনি ঢাকায় উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে থাকেন। ২০১২ সালের ১ অক্টোবর তাঁর কর্মস্থল স্কলাসটিকা স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তানভীর। এ ঘটনায় উত্তরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁর পরিবার।

এরপর ৯ অক্টোবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পান তানভীর।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারওয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সব মিলিয়ে এ মামলায় মোট আটজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মো. সাইদ, মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী এনামুল, পলাশ রুদ্র পাল এবং নিহত দম্পতির বন্ধু তানভীর রহমান। তাঁদের মধ্যে প্রথম পাঁচজনই মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র হত্যার ঘটনায় র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হন। প্রথম পাঁচজন ও নিরাপত্তারক্ষী এনামুল এখনো এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় এখনো কোনো ক্লু খুঁজে পাওয়া যায়নি। ডিএনএ পরীক্ষার চারটি প্রতিবেদনের মধ্যে দুটি এলেও আসামিদের সঙ্গে এসব নমুনা মেলেনি। আরো দুটি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর জানা যাবে। এসব প্রতিবেদন কবে নাগাদ আসবে তা বলা যাচ্ছে না।

আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর এই মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) অতিরিক্ত ডিএজি খন্দকার শফিকুল আলম আজ সোমবার হাইকোর্টে হাজির হয়ে এসব তথ্য দিয়েছেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন দেওয়া হয়।  

পরে আদালত আগামী ১৪ নভেম্বর এ মামলা থেকে সন্দেহভাজন আসামি তানভীর রহমানের নাম বাতিলের আবেদনের ওপর আদেশের দিন নির্ধারণ করে দেন।

এর আগে ২০ অক্টোবর সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। মামলার সিডিসহ তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের অতিরিক্ত ডিএজি খন্দকার শফিকুল আলমকে হাজির হতে বলা হয়।

আদালতে তানভীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজ সকাল সাড়ে ১০টায় হাজির হয়েছেন। এ মামলার এখন পর্যন্ত সাতজন তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু মামলার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি।

শুনানিকালে তদন্ত কর্মকর্তা খন্দকার শফিকুল আলম আদালতে বলেন, এ মামলার কোনো ক্লু খুঁজে পাওয়া যায়নি। চারটি ডিএনএ পরীক্ষার প্রতিবেদনের জন্য নমুনা যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়। এর মধ্যে দুটি নমুনা এসেছে। এসব নমুনার সঙ্গে আসামিদের কারো কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। অপর দুটি পরীক্ষার নমুনা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইতে রয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি নেই। এ সময় অদালত বলেন, আপনারা আলামত হিসেবে কী পেয়েছেন?

জবাবে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আমরা কয়েকটি ছোরা, দা ও বটি পেয়েছি। তবে রিপোর্ট না আসায় কারো সঙ্গে মিল পাওয়া যায়নি।

আইনজীবী জানান, তখন আদালত হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, দীর্ঘ আট বছর মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ হবে কবে? তদন্ত কি অনন্তকাল ধরে চলবে?

পরে ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বলেন, বিজ্ঞ আদালত, আপনারা দ্রুত প্রতিবেদন শেষ করতে এক মাস সময় দিয়ে আদেশ দিতে পারেন।

এ সময় আদালত বলেন, ‘সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে কিছুই হয়নি। এখন সেটির আদেশ দেব?’ পরে আদালত এ মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তানভীর রহমানের মামলা বাতিলের আবেদনের ওপর আদেশের জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন, যোগ করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।

এর আগে সাংবাদিক সাগর-রুনি দম্পতি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তানভীর রহমান মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী।

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার হওয়ার ২৬ মাস পর জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান তানভীর রহমান। তানভীরের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে। তিনি ঢাকায় উত্তরার ১৩ নম্বর সেক্টরে থাকেন। ২০১২ সালের ১ অক্টোবর তাঁর কর্মস্থল স্কলাসটিকা স্কুলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন তানভীর। এ ঘটনায় উত্তরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাঁর পরিবার।

এরপর ৯ অক্টোবর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে জানান, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তানভীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে উচ্চ আদালত থেকে তিনি জামিন পান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে মুক্তি পান তানভীর।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষত-বিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সারওয়ার মেঘ। হত্যাকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

সব মিলিয়ে এ মামলায় মোট আটজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মো. সাইদ, মিন্টু, কামরুল হাসান ওরফে অরুণ, সাগর-রুনির ভাড়া বাসার নিরাপত্তা প্রহরী এনামুল, পলাশ রুদ্র পাল এবং নিহত দম্পতির বন্ধু তানভীর রহমান। তাঁদের মধ্যে প্রথম পাঁচজনই মহাখালীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র হত্যার ঘটনায় র‍্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হন। প্রথম পাঁচজন ও নিরাপত্তারক্ষী এনামুল এখনো এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

এই বিভাগের আরো খবর