শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৬০

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য বাংলাদেশ

মাহির আমির মিলন, জবি প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১  

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেছার পাঁচ সন্তানের মধ্যে শেখ হাসিনা ছিলেন পরিবারের  বড় সন্তান। তিনি ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহেনা  জার্মানিতে থাকায় বর্বর অত্যাচারীর কাছ থেকে প্রাণে বেঁচে যায়।

বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের জন্য তাঁর অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি শিক্ষাখাতকে সর্বস্তরে পৌঁছে দিয়েছেন। নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন।ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন পড়ালেখার মান উন্নয়নের জন্য। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার জন্য প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত উপবৃত্তি ব্যবস্থা চালুে করেছেন। 

শেখ হাসিনার মাধ্যমে স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতকে যুগোপযোগী করতে প্রণয়ন করা হয়েছে " জাতীয় স্বাস্থ্য নীতিমালা ২০১১"। তৃণমূল পর্যায়ের দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে গড়ে তোলা হয়েছে ১২ হাজার ৭৭৯(১) কমিউনিটি ক্লিনিক। 
৩১২(২) উপজেলা হাসপাতালকে উন্নিত করা হয়েছে ৫০ শয্যায়। মাতৃ আর শিশু মৃত্যু হার ও জন্ম হার কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে।

নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধির জন্য সর্বক্ষেত্রে তাদের প্রবেশ নিশ্চিত করেছেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ সহজ করেছেন। নারী উদ্যোক্তাদেরকে বেশি অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। শেখ হাসিনার জন্য নারীদের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষুদ্র ঋন এবং পোশাক শিল্প বাংলাদেশের উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করেছে। 
আজকের এই ডিজিটাল বাংলাদেশে পদার্পণের একমাত্র অবদান তাঁরই।

শেখ হাসিনার উল্লেখযোগ্য পুরস্কারে মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের গৃহযুদ্ধ অবসানের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো তাঁকে ‘হুপে-বোয়ানি’ (Houphouet-Boigny) শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।

রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার জন্য যুক্তরাস্ট্রের রানডলপ ম্যাকন উইমেন্স কলেজ ২০০০ সালের ৯ এপ্রিল মর্যাদাসূচক ‘Pearl S. Buck ’৯৯’ পুরস্কারে ভূষিত করে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ শেখ হাসিনাকে সম্মানজনক ‘সেরেস’ (CERES) মেডেল প্রদান করে। সর্বভারতীয় শান্তিসংঘ শেখ হাসিনাকে ১৯৯৮ সালে ‘মাদার টেরেসা’ পদক প্রদান করে। ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক রোটারি ফাউন্ডেশন তাঁকে Paul Haris  ফেলোশিপ প্রদান করে। পশ্চিমবঙ্গ সর্বভারতীয় কংগ্রেস ১৯৯৭ সালে তাঁকে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু স্মৃতি পদক প্রদান করে। আন্তর্জাতিক লায়ন্স ক্লাব কর্তৃক ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে তিনি ‘Medal of Distinction’ পদক ও ১৯৯৬-১৯৯৭ সালে ‘Head of State’ পদক লাভ করেন। ২০০৯ সালে ভারতের ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল ট্রাস্ট শান্তি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অসামান্য ভূমিকা পালনের জন্য শেখ হাসিনাকে ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া তিনি বৃটেনের গ্লোবাল ডাইভারসিটি পুরস্কার এবং ২ বার সাউথ সাউথ পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০১৪ সালে ইউনেসকো তাঁকে ‘শান্তিরবৃক্ষ’ এবং ২০১৫ সালে উইমেন ইন পার্লামেন্টস গ্লোবাল ফোরাম নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তাঁকে রিজিওনাল লিডারশীপ পুরস্কার এবং গ্লোবাল সাউথ-সাউথ ডেভলপমেন্ট এক্সপো-২০১৪ ভিশনারি পুরস্কারে ভূষিত করে। বাংলাদেশের কৃষির উন্নয়নে অব্যাহত সমর্থন, খাদ্য উৎপাদনে সয়ম্ভরতা অর্জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়নে অবদানের জন্য আমেরিকার কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৫ সালে তাঁকে সম্মাননা সনদ প্রদান করে।

জাতিসংঘ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচি দেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিবেশ এবং টেকসই উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য লিডারশীপ ক্যাটাগরিতে শেখ হাসিনাকে তাদের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ-২০১৫’ পুরস্কারে ভূষিত করেছে। এছাড়া, টেকসই ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য International Telecommunication Union (ITU) শেখ হাসিনাকে ICTs in Sustainable Development Award-2015 প্রদান করে।

বাংলাদেশে এই অসামান্য অবদান রাখার জন্য নানা উপাধি দেওয়া হয়েছে তাকে। শোকরানা মাহফিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে " কওমি জননী " উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা নেতৃবৃন্দৃ ও গণমাধ্যম নানা উপাধি দিয়েছেন সেগুলোর কিছু তুলে ধরা হলোঃ

লেডি অব ঢাকা - যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক প্রভাবশালী বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস। 
মাদার অব হিউম্যানিটি - ব্রিটিশ মিডিয়া। 
কারিশম্যাটিক লিডার - মিশরের রাষ্ট্রদূত মাহামুদ ইজ্জত। 
বিরল মানবতাবাদী নেতা - তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। 

সম্প্রতি তাকে এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার -" ক্রউন জুয়েল বা মুকুট মনি" বলে আখ্যায়িত করেছে, আর্থ ইনস্টিটিউট কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশনস নেটওয়ার্ক। 
 

এই বিভাগের আরো খবর