বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৭৬৬

শিশুর ত্বকের যত্নে লোশন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮  

এই মৌসুমে শিশুর নাজুক ত্বকের জন্য প্রয়োজন বিশেষ ময়েশ্চারাইজার। শিশুর ত্বকের জন্য তেল ও লোশন দুটোই হতে পারে ভালো ময়েশ্চারাইজার। বিস্তারিত জানাচ্ছেন সানশাইন ডে কেয়ারের স্বত্বাধিকারী ও চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট এক্সপার্ট ফারহানা আহমেদ।

শীতের গোসল
ত্বকের যত্নে ময়েশ্চারাইজারের পাশাপাশি শীতে শিশুর ত্বক পরিষ্কারের বিষয়টির ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে। ঠাণ্ডা আবহাওয়ার কারণে অনেকেই শিশুকে নিয়মিত গোসল করান না। এটা ঠিক নয়। ঠাণ্ডার সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন শিশুকে গোসল করানো ভালো। প্রতিদিনই একটি নির্দিষ্ট সময়ে শিশুর গোসল সেরে ফেলা উচিত। এ জন্য সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে যেকোনো একটা সময় বেছে নেওয়া ভালো। শীতে গোসলের আগে শিশুর ত্বকে তেল ম্যাসাজ খুব উপকারী। তবে শিশুর ত্বকে সরিষার তেল লাগানো ঠিক নয়। খাঁটি নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল কিংবা বেবি অয়েল বেছে নিন। ধীরে ধীরে সারা শরীরে ম্যাসাজ করুন পাঁচ মিনিট। তারপর ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ সাবান দিয়ে গোসল করান। শিশুর গোসলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। পানির তাপমাত্রা যেন ৩৭ ডিগ্রির বেশি না হয়। প্রয়োজনে পানির তাপমাত্রা মেপে নিন। অতিরিক্ত শীতে এক দিন পর পর গোসল করানো যেতে পারে। গোসল না করালেও কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে শিশুর শরীর ভালোভাবে মুছে দিতে হবে। গোসলের পর শরীর ভালো করে মুছে আর্দ্র ত্বকেই লোশন লাগান।

কেমন হবে শীতের লোশন
শিশুর লোশন নির্বাচনের সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। শিশুদের ত্বক খুব পাতলা, নাজুক ও স্পর্শকাতর হয়। শীতে শিশুর জন্য মিল্কক্রিম বেইজড মাইল্ড লোশন উপযোগী। হোয়াইট সফট প্যারাফিন বা ফসপোলিপিডসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার বা লোশন শিশুর ত্বকের জন্য ভালো। লোশনের পানির পরিমাণ অর্থাত্ পিএইচ মাত্রা যেন ৫.৫-এর মধ্যেই থাকে। লোশনে থাকা গ্লিসারিনের মাত্রাও যেন বেশি না হয়, সেদিকে লক্ষ রাখুন। এ ছাড়া শিশুর ত্বকে ব্যবহূত লোশন সুগন্ধি, অ্যালকোহল ও অন্যান্য কেমিক্যালবিহীন কি না নিশ্চিত হয়ে নিন।

দিনে দুবার চাই ময়েশ্চারাইজার
প্রতিদিন গোসলের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে শিশুর ত্বকে লোশন লাগাতে হবে। শিশুর ত্বক খুব শুষ্ক হলে লোশনের সঙ্গে অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল মিশিয়ে নিতে পারেন। লোশন লাগানোরও কিছু নিয়ম রয়েছে। তালুতে লোশন নিয়ে দুই হাতে মেখে তারপর শিশুর ত্বকে লাগান। ত্বকের নিচ থেকে ওপরের দিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হালকাভাবে ম্যাসাজ করুন। লোশন লাগানোর সময় শিশুর যেন ঠাণ্ডা লেগে না যায়, সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। দরজা-জানালা বন্ধ করে নিন। নতুন লোশন প্রথমেই পুরো শরীরে লাগাবেন না। ত্বকের যেকোনো অংশে অল্প করে লাগিয়ে এক বেলা অপেক্ষা করুন। কোনো সমস্যা না হলে পুরো শরীরে লাগান। আর কোনো ধরনের সমস্যা বা র্যাশ হলে সেই লোশন ব্যবহার থেকে বিরত থাকু। সে ক্ষেত্রে চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে শিশুর ত্বক উপযোগী লোশন নির্বাচন করতে হবে।