শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৫৫

শরীয়তপুরে পালিত হলো মানবাধিকার দিবস

নুরুজ্জামান শেখ শরীয়তপুর প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

 

'মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা'' প্রতিপাদ্যকে নিয়ে শরীয়তপুরে মানবাধিকার দিবস-২০১৯  উদযাপন উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য  র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় মানবাাধিকার কমিশনের আয়োজনে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সকাল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের কোন জায়গায় যেন মানবাধিকার  লঙ্ঘিত না হয় সে জন্য মানবাধিকার কমিশন তৈরি করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। আর মায়ানমার মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নের্তৃত্বে
শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎসহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হচ্ছে। বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকারের কথা বলা হয়েছে। শরীয়তপুরে যেন একটিও মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয় সে দিকে সকলের খেয়াল রাখতে হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর হায়দার শাওন, শরীয়তপুর সিভিল সার্জন ডা. খলিলুর রহমান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আব্দুস সামাদ তালুকদার, জাতীয় মহিলা সংস্থা শরীয়তপুরের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রওশন আরা বেগম।

এ সময় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি কার্যালয়ের প্রধানগণ, মানবাধিকার সদস্য, ফায়ার সাভির্সের প্রতিনিধি, সাংবাদিক প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণা অনুযায়ী  সকল মানুষের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রয়েছে। দেশের সংবিধান ও নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী সরকার প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে দারিদ্র্য, ক্ষুধা, রোগ-ব্যাধি ও নিরক্ষরতা দূরীকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার।  সরকার নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের সহিংসতা মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান এবং এ ধরনের সহিংসতাকারী অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার বিষয় নিশ্চিত করেছে।

জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন নিয়ে সরকার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত মানবতার বিরুদ্ধে নৃশংস অপরাধ ও গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে।
১৯৪৮ সালে ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের উদ্যোগে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। সেই থেকে বিশ্বব্যাপী জাতিসংঘ সদস্যভুক্ত দেশগুলো বিশ্ব মানবাধিকার দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করে আসছে।

এই বিভাগের আরো খবর