বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৮৭

শরীয়তপুরে পূর্বশত্রুতার জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

নুরুজ্জামান শেখ , শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২১  

শরীয়তপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রবাসী দাদন খলিফা (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে দাদন খলিফা পালং উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের গয়ঘর গ্রামের সেকেন্দার খলিফার পুত্র। পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য দাদন খলিফা ২০১৪ সালে মালয়েশিয়া কর্মের জন্য পারি জমান। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ মালয়েশিয়ায় দীর্ঘ ৬ বছর থাকার পর মা-বাবা এবং দেশের  টানে গত দুই মাস পূর্বে বাংলাদেশে চলে আসে।


গত ১৫ এপ্রিল রাত সাড়ে নয়টার দিকে পবিত্র মাহে রমজানের তারাবির নামাজ শেষ করে দাদন খলিফা বাড়ি যাওয়ার পথে কয়েকজন স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনী তাকে তুলে নিয়ে নদীর ওপর চকের ভিতর নির্জন স্থানে দেশীয় ধারালো অস্ত্র সেন দা চাপাতি ও টেটা দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাত দুই পা কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম  করে। দাদন খলিফার চিৎকারের শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন রক্তাক্ত আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাৎক্ষণিকভাবে আহত দাদন খলিফাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দ্বারা দাদন খলিফা কে কুপিয়ে আহত করার বিষয়টি পালং থানার নবাগত ওসি মোঃ আক্তার হোসেন এবং নুড়িয়া সার্কেল এসপি মোঃ মিজানুর রহমান তাদের ফোর্স নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসে। জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দাদন খলিফা নড়িয়া সার্কেল এসপি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কে বলেন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে ইদ্রিস খা, আবুল খা, রশিদ খলিফা, আজিজ খলিফা, শাজাহান খা, আজাহার খা, নাসির মাদবর, বাচ্চু মাদবর এই অপরাধীদের নাম বলে  জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জরুরী বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই সময় জরুরী বিভাগে উপস্থিত ছিল স্থানীয় সাংবাদিক বৃন্দ। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত দাদন খলিফা কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাবুবাজার ব্রিজের পূর্বে দিবাগত রাত তিনটার দিকে এম্বুলেন্স এর ভিতর মৃত্যুবরণ করেন। নিহত যুবকের মরদেহ কে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।গত দুই সপ্তাহ পূর্বে নিহত দাদন খলিফা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ওই নববধূকে এখনো বাড়িতে আনা হয়নি।


পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন আহত অবস্থায় দাদন খলিফার বক্তব্য পেয়েছি। রাতেই মামলা হয়েছে । এ জগন্যতম নির্মম হত্যার  সাথে  যারা জড়িত রয়েছে তারা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এই বিভাগের আরো খবর